সাহাদাত হোসেন ( দিপু) ঃ-
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে লোকজনকে অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না বেরুতে প্রশাসনের কঠোর নির্দেশনা থাকলেও লক্ষীপুরের চন্দ্রগঞ্জ তা মানা হচ্ছে না।
এখানকার সব সাপ্তাহিক হাট ও পাড়া মহল্লার চায়ের দোকান বন্ধের কঠোর নির্দেশনা থাকলেও থেমে নেই কর্মকাণ্ড।
সোমবার সকাল থেকেই থানার কয়েকটি বাজারে সাপ্তাহিক হাট ছিল অনেকটা জমজমাট। হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেকেই মাস্ক না পড়েই অবস্থান করেছে হাটের মধ্যে। সবজি ও মাছ বিক্রেতাদের অনেকেই ছিলেন মাস্কবিহীন। দুই একজন বাধ্য হয়ে মুখে জড়িয়ে রাখলেও কয়েকজনের মাস্ক ছিল দুই কানে জড়ানো।
বিভিন্ন বাজারে এমন সব অনিয়মের খবর পেয়ে” তাত্ক্ষণিকভাবে
সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় হঠাৎ করেই ক্রেতা সেজে থানার মান্দারী, হাজিরপাড়া, আমিন বাজার, গন্ধব্যপুর, বটতলী, ও দত্তপাড়া সহ কয়েকটি বাজারে উপস্থিত হোন চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি জসিম উদ্দিন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন থানার সেকেন্ড অফিসার অসীম কুমার ও পুলিশ সদস্য আশিক।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন ” লক্ষীপুর জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার স্যারের আদেশক্রমে সবাইকে বিভিন্ন ভাবে বারবার সতর্ক করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু সরকারের আইন মানুষ মানতেই চায় না” আজকে কয়েকটি বাজারে চায়ের দোকানে বিনা প্রয়োজনে আড্ডা দেওয়ায়” ধাওয়া দিয়ে মানুষকে ছত্রভঙ্গ করে দিই। এবং প্রায় ৫০ টি দোকান থেকে চায়ের কেটলি নিয়ে আসি। তিনি আরও বলেন করোনা প্রতিরোধে চন্দ্রগঞ্জবাশীকে সচেতন করতে ভালো ও সুস্থ রাখতে আমার এই অভিযান চলমান থাকবে।
প্রয়োজনে করোনা থেকে জনসাধারণকে বাঁচাতে স্যারের সাথে আলোচনা করে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওযার দাবি তুলব।
জানতে চাইলে লক্ষীপুর জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার সব সাপ্তাহিক হাট বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে খবর আসলেই আমরা ব্যবস্থা নেই। ইতিপূর্বেও নিয়েছি। এ ব্যাপারে আরো কঠোর ভূমিকা পালন করব।