করোনায় স্কুল ছুটি : লক্ষ্মীপুরে খেলায় মেতেছেন শিশুরা

লক্ষ্মীপুর

দিগন্তের আলো ডেস্ক :-
করোনা থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাখতে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে সরকার। এসময় নিজেদের ও অন্যদের ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বাসস্থানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অথচ সে নির্দেশ উপেক্ষা করে একসঙ্গে জড়ো হয়ে খেলাধুলা করছেন শিক্ষার্থীরা। তবে অভিভাবকগণ বলছেন তাদের অগোচরে মাঠে খেলাধুলা করছেন সন্তানরা।
স্কুল-কলেজ বন্ধ হওয়ায় অবসর সময় খেলাধুলা করে কাটাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। যদিও তাদেরকে নিজ বাসস্থানে থাকতে বলেছেন সরকার। তবে এরমধ্যে কেউ না জেনে আবার কেউবা অবজ্ঞা করেই মাঠে মেতেছেন খেলাধুলায়। অনেকেই আবার মাঠে এসেছেন অভিভাবকদের কথার অবাধ্য হয়ে।
মাহি ও রিফাত (ছন্মনাম) সহ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, স্কুল বন্ধ, ঘরে আবদ্ধ থাকতে ভালো লাগে না। এজন্য বন্ধুরা একসঙ্গে মাঠে খেলাধুলা করছেন। তাছাড়া খেলাধুলা করলে মন ভালো থাকে। তবে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ও মাস্ক ব্যবহার করছেন কেউ কেউ। যদিও খেলার মাঠে কাউকে দেখা যায়নি মাস্ক পরিহিত অবস্থায়।
অভিভাবকরা বলছেন, করোনা ভাইরাস সচেতনতায় নিয়মিত হাত ধোয়া ও মাস্ক ব্যবহার করাচ্ছেন সন্তানদের। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাদের অগোচরে খেলাধুলা করছেন সন্তানরা। তবে অনেকেই বলছেন, ‘রোগ দিয়েছেন আল্লাহ, নিজ সন্তান ও দেশবাসীকে সে ভাইরাস থেকে রক্ষা করবেনও তিনি। তাদের ধারনা, সৃষ্টিকর্তা যদি ইচ্ছা করেন, তাহলে শত সচেতন থাকলেও রোগ হবেই।’
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সদস্য প্রফেসর জেড এম ফারুকী বলেন, করোনা একটি ছোঁয়াছে রোগ। কয়েকজন একসঙ্গে খেলাধুলা ও বাইরে চলাফেরা করা ঠিক নয়। কারন, সেখানকার কেউ একজন এ রোগে আক্রান্ত হলে অন্যদের মধ্যেও ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য অভিভাবকদের এ বিষয়ে বেশি সচেতন হতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গণজমায়েত নিষিদ্ধ করেছে সরকার। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য বন্ধ করা হয়েছে স্কুল-কলেজ সহ সকল কোচিং সেন্টার। লোকসমাগম রোধ ও অপ্রয়োজনে ঘোরাফেরা বন্ধ করতে জেলাজুড়ে কাজ করছে প্রশাসন। খেলাধুলা নয় কোনপ্রকার গণজমায়েত করলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে ১৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে। একাএকা ছেলেমেয়েরা বাইরে ঘুরতে না যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। কারন ছুটি দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *