লক্ষীপুরে দেড়যুগেও সংস্করণ হয়নি ৪ কি.মি রাস্তা ভোগান্তিতে ১২ গ্রামের লক্ষাধীক মানুষ।

সদর

সাহাদাত হোসেন দিপু
লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার মান্দারী ইউনিয়নের হরকার দিঘীর পাড় হইতে দক্ষিণ মান্দারী পাল বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তার জন্য ভোগান্তিতে ২ ইউনিয়নের ১০ টি গ্রামের প্রায় লক্ষাধীক মানুষ।
স্থানীয়রা ও এলাকাবাসী জানায় রাস্তাটি নির্মাণের পর হইতে বিগত দেড়যুগ একবার ও সংস্করণ করা হয়নি গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি । অথচ মান্দারী ও দিঘুলী এই ২ ইউনিয়নের পূর্ব মান্দারী, দক্ষিন মান্দারী, পশ্চিম মান্দারী, পশ্চিম দিঘুলী, বড় বেড়ি, বেড়িবাঁধ, বেড়ির মাথা, পূর্ব মিয়াপুর, গন্ধ্যব্যপূর, ও বড় পুকুর পাড়, এই ১২ টি গ্রামের প্রায় লক্ষাধীক মানুষের প্রতিদিন চলাচলের একমাত্র রাস্তা।
আজ মোঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পুরো রাস্তার কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট-বড় অনেক গুলো গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় রাস্তাটির এখন বেহাল দশা। দীর্ঘদিন সড়কটি সংস্কার না করায় দিন দিন বাড়ছে দুর্ভোগ। স্থানীয়দের মতে, সড়কটি সংস্কার না করায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
সড়কটির বেহাল দশা ও চলাচলের অনুপযোগী পরিনত হওয়ার পরে-ও সংস্কার করার কোন উদ্যোগ গ্রহন করেনি সংষিøষ্ঠ কর্তৃপক্ষ।
এতে প্রতিনিয়ত স্কুলের শিক্ষার্থী, যানবাহন চালক, পথচারীসহ সাধারণ মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পুরো রাস্তার কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে লক্ষ্মীপুর প্রাণকেন্দ্র মান্দারী চন্দ্রগঞ্জ, জকসিন ও লক্ষীপুর সদর উপজেলা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাজারে, মানুষের প্রতিনিয়তই চলাচল করতে হয়। এই রাস্তাটি এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য একমাত্র পথ হওয়ায় চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। এই রাস্তার বেহাল দশার কারনে দিন দিন বাড়ছে দূর্ভোগ। শুকনো মৌসুমে কোনভাবে চলাচল করা গেলেও চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় বর্ষা মৌসুমে।
দিনে কিংবা রাতে চলাচলের সময় রাস্তার ছোট-বড় গর্তে উল্টে পড়তে হয় ভ্যানগাড়ী, সাইকেলসহ ছোট বড় যানবাহন। তবু এই রাস্তাাটি সংস্কার করার কোন উদ্যোগ গ্রহন করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বারবার আশা দিয়েও রাস্তাটি সংস্করণ করেনি কেউ। দ্রুত এই রাস্তাটি সংস্কার করা হলে ওই এলাকার ১০/১২ টি গ্রামের মানুষ এই দূর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবে।
তাই দ্রুত এই রাস্তাটি সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রামের বাসিন্দারা।
শিক্ষক মাকসুদ (বিসি) ব্যাবসায়ী কামাল হোসেন , স্কুল ছাত্র অনিক, কৃষক মফিজ , সিএনজি চালক সোহেল, অটোরিকশা ড্রাইভার মানিক, সহো আরো অনেকেই ভোরের ডাককে জানান, বর্তমানে এই রাস্তার বেহলা দশার জন্য অনেকাংশেই দায়ী ইটভাটা এবং অবৈধ পাওয়ার টিলারের মালিকগন। তারা আরও বলেন এই এলাকায় প্রায় ৬/৭ টি ইটভাটা আছে আর সবগুলো ইটভাটার জন্য অবৈধ ৬ চাখার পাওয়ার টিলার গুলো দিয়ে মাটি বালু ও ইট আনা নেওয়া করা হয় এই রাস্তা দিয়ে, এই অবৈধ দানবগুলোর কারণে রাস্তার সবচাইতে ক্ষতি হয় বলে জানান এলাকাবাসী । বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় ক্ষমতার দাপটে অবৈধ পাওয়ার টিলার বছরের পর বছর সরকারি আইনকে বৃদ্ধা আঙুল দেখিয়ে মাটি আনা নেওয়া কাজে ব্যবহার করে আসছেন । পুরো রাস্তার কারপেটিং উঠে গিয়ে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাটি সংস্কার না করায় দিনদিন আমাদের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। রাতে বা দিনে যে কোন সময়ে গাড়ী ইঞ্জিন বিকল হয়ে বা গাড়ী উল্টে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। দ্রুত এই রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন পুরো গ্রামবাশী। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবী সাধারন মানুষের, এবং যথাযত কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *