লক্ষীপুরে সিন্ডিকেটের বহাল থাবায় চালের বাজার ” বিপাকে মধ্যবিত্ত ও নিম্নশ্রেণীর মানুষ।

লক্ষ্মীপুর

 

সাহাদাত হোসেন দিপু –

লক্ষীপুরে চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও বাজারে হঠাৎ করে চালের দাম বেড়েছে।

প্রকারভেদে সকল ধরনের চালের দাম ৫০ কেজি বস্তায় বেড়েছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত।

বারবার চালের মূল্য বৃদ্ধির জন্য পাইকারী ব্যবসায়ীদের কারসাজিকে দায়ী করছেন খুচরা বিক্রেতারা। অপরদিকে, শুধু মিলারদের ও পাইকারী কারসাজি নয়, সঠিক তদারকির অভাবকেও দায়ী করছেন বিশিষ্টজনেরা।

হঠাৎ চালের এই দাম বৃদ্ধিতে স্বল্প ও নিম্ন আয়ের ক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন।

লক্ষীপুরের বিভিন্ন বাজারে ৫ দিনের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।

সাধারণ মানুষ যে চাল খায় গুটি-স্বর্ণ, সুমন স্বর্ণ, মিনিকেট, ২৮ ভ্যারাইটি এবং নাজিরশাল বেড়েছে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা।

এছাড়া কাটারি, চিনিগুঁড়া এবং জিরা কাটারির দামও বেড়েছে। হঠাৎ চালের মূল্য বৃদ্ধিতে স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা বিপাকে পড়েছেন।

কামরুল আকবরসহ অনেক ক্রেতাই জানান, বাজারে এসে দেখি চালের কেজি প্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। চালের দাম যাতে না বাড়ে সেজন্য সরকারের নিয়ন্ত্রণ করতে সঠিক তদারকির দরকার।

মিলারদের কাছে ধান এবং চাল পর্যাপ্ত থাকার পরও দাম বৃদ্ধির জন্য মিলারদের দায়ী করছেন অনেকেই ।

পর্যাপ্ত চাল রয়েছে। এছাড়া কৃষকদের কাছে কোনো ধান নেই। সব ধান রয়েছে মিলারদের কাছে।

এদিকে, করোনাভাইরাসের অজুহাতে সংকট দেখিয়ে কেউ যেন চাল, ডাল, আটা, ময়দা, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, তেল, মসলাসহ কাঁচা তরিতরকারী দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি না করতে পারে এজন্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার মনিটরিং জোরদার করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *