শিশুর জামা খুলে প্রস্রাব পরিষ্কার করলেন প্রধান শিক্ষিকা

অপরাদ

দিগন্তের আলো ডেস্ক : –

শ্রেণিকক্ষে শিশুর জামাকাপড় খুলে প্রস্রাব পরিষ্কার করার অভিযোগ উঠেছে ফেনীর ছাগলনাইয়ার এক প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকা নাছরিন আক্তারের বিরুদ্ধে ইউএনওর কাছে রোববার বিকালে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ছাত্রীর বাবা।

এ ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দিয়েছেন ইউএনও সাজিয়া তাহের।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, পূর্ব হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রী প্রতিদিনের মতো রোববার সকালে বিদ্যালয়ে যায়। ক্লাস চলাকালীন তার প্রস্রাবের বেগ হলে বাথরুমের যাওয়ার জন্য শ্রেণি শিক্ষক ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাছরিন আক্তারের কাছে অনুমতি চায়।

ক্লাস শুরুর আগে কেন প্রস্রাব করেনি- এ বলে শিশুর ওপর রেগে গিয়ে বকাঝকা করেন প্রধান শিক্ষক। ক্লাস শেষ হওয়ার আগে বের হতে পারবে না বলে শিশুকে তিনি শাসিয়ে দেন। তখন প্রস্রাবের প্রচণ্ড বেগ থাকায় ক্লাসের মধ্যেই প্রস্রাব করে দেয় ওই শিশু শিক্ষার্থী।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ক্লাসে প্রস্রাব করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রীকে মারধর করে জামা কাপড় খুলে নেয় প্রধান শিক্ষক। এ জামাকাপড় দিয়ে প্রস্রাব পরিষ্কার করে খালি গায়ে ছাত্রীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় প্রধান শিক্ষক।

ছাত্রীর বাবা জানান, ম্যাডামের এমন আচরণের পর থেকে তার মেয়ের মনে ভয় ঢুকে গেছে। খালি গায়ে বাড়িতে এসে থরথর করে কাঁপছে সে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মহিউদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, ‘প্রধান শিক্ষিকা নাছরিন আক্তারের বিরুদ্ধে ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ এসেছে। স্যার আমাকে দায়িত্ব দিলে আমি অ্যাকশনে যাব।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া তাহের জানান, শিশুকে নিয়ে তার বাবা আমার কার্যালয়ে এসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমি শিশুকে দেখে ধারণা করেছি যে, তার ওপর কতটা নির্মমতা হয়েছে। শিক্ষা অফিসারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে বলেছি। প্রয়োজনীয় আইনগত সব ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা নাছরিন আক্তার বলেন, ‘পড়ার নেয়ার সময় হলে ওই মেয়ে নানা অজুহাত দেখিয়ে ক্লাস থেকে বের হতে চায়। আমি পড়া দিয়ে বের হতে বললে সে ক্লাসে প্রস্রাব করে দেয়। আমি জামাকাপড় খুলেছি, তবে প্রস্রাব পরিষ্কার করেছি অন্য কাপড় দিয়ে। এটা নিয়ে এত হৈ চৈয়ের কি আছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *