দিগন্তের আলো ডেস্ক :
বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে শুক্রবার গভীর রাতে বাসার গেট ও ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে তুলে নেওয়া এবং সাজা দেওয়ার ঘটনায় আগামীকাল রবিবার হাইকোর্টের নজরে আনা হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বিষয়টি আদালতের নজরে আনবেন। তারা আদালতের কাছে স্বতপ্রণোদিত আদেশ চাইবেন। আদালত তাতে রাজি না হলে বাংলাট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক হারুন অর রশীদ রিট আবেদন করেবন। এরইমধ্যে রিট আবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে।
ব্যারিস্টার সুমন কালের কণ্ঠকে বলেন, এটি ক্ষমতা অপব্যবহারের নিকৃষ্টতম উদাহরণ। এটা আমলা দিয়ে তদন্ত করলে যথাযথ হবে না। আমি মনে করি এর বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত।
তিনি আরো বলেন, নির্যাতিত সাংবাদিকের পক্ষে সব ধরনের আইনি সহায়তা দেয়া হবে।
শনিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম কারাগারে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করতে যান তার স্ত্রী মোস্তারিমা সরদার নিতু। সেখানে আরিফুল ইসলাম স্ত্রীকে জানান, মধ্যরাতে তাকে বাসা থেকে জোর করে তুলে আনার পথে জেলা প্রশাসক কার্যালয় পর্যন্ত লাথি-থাপ্পর, ঘুষি মারতে মারতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে প্রথমে তার দুই চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়। এরপর প্যান্ট ও গেঞ্জি খুলে তাকে বিবস্ত্র করে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। এসব দৃশ্য ভিডিও করা হয় বলে জানিয়েছেন আরিফুল।
তিনি আরও জানান, যারা তাকে নির্যাতন করেছে, তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মকর্তা। তাদের দেখতে না পারলেও তাদের সবার গলার স্বর তার মনে আছে।
কালের কণ্ঠ