সাহাদাত হোসেন দিপু ঃ-
এমন যানজটের দৃশ্য হরহামেশাই লক্ষীপুর জেলার বিভিন্ন বাজারে দেখা যায়। এমন চিত্র দেখলে যে কেউ হয়তো ভাবতে পারে এই ছবিটি রাজধানী ঢাকার যে কোন এলাকার যানজটের চিত্র। আর এমনটাই ভাবাটা স্বাভাবিক কারণ এমন যানজট শুধু ঢাকাতেই প্রতিনিয়োত দেখা যায়। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য এই যানজট এখন লক্ষীপুরে বিভিন্ন বাজারে প্রায় সময় দেখা যায়। সাধারণ মানুষ মনে করেন এই যানজট সৃষ্টির মূলত কারণ হচ্ছে যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কীং, ফিটনেস বিহীন গাড়ি, ও ট্রাফিক আইন অমান্য করা ।
সদর উপজেলার মান্দারী,চন্দ্রগঞ্জ, দিঘুলী,দত্তপাড়া, জকসিন, সহ বিভিন্ন এলাকায় গুরে দেখা যায় এমন অবস্থা। তবে সবচেয়ে বেশি যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে সদর উপজেলার মান্দারী ও চন্দ্রগঞ্জ বাজাওে। এই যানজটের কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়তে হয় চাকরিজীবী শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মান্দারী দক্ষিণ বাজার আমিন বাজার রোডে ট্রাপিক আইন অমান্য করে নিজেদের খামখেয়ালি মতো এলোপাতাড়ি ভাবে রাস্তার দুই পাশে সিএনজি অটোরিকশা সহ বিভিন্ন যানবাহন রাখতে দেখা গেছে।
মান্দারী বাজারের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী জাহিদুর রহিম দিগন্তের আলোকে বলেন লাইন ম্যান না থাকার কারণে প্রতিদিন যানজট লেগেই থাকে। নিয়ম- শৃঙ্খলা না থাকার কারণে প্রতিদিন চালকদের মধ্যে মারামারি হয়। দোকানের সামনে সিএনজি রাখার কারনে ব্যাবসায়ী আর ড্রাইভারদের মধ্যে প্রায় বাকবিতন্ড লেগেই থাকে। ব্যাবসায়ী ও চালকরা মনে করেন জরুরি একজন লাইনম্যান দরকার। তাই চেয়ারম্যান মহোদয়ের এবং স্থানীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সিএনজি চালক রহিম ও বাবলু বলেন লাইনম্যান ও নির্দিষ্ঠ কোন সিরিয়াল না থাকায় আমরা যে যাঁর মতো করে সিএনজি অটোরিকশা রাস্তার দুই পাশে রাখায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এবং প্রতিনিয়ত আমাদের চালকদের মধ্যে মারামারি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি রুহুল আমিন বিপ্লব দিগন্তের আলোকে বলেন আমরা যানজট নিরসনের জন্য সবসময় চেষ্টা করছি এবং চন্দ্রগঞ্জ থানার মধ্যে সবচেয়ে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার মান্দারী ও চন্দ্রগঞ্জ একজন করে হাইওয়ে পুলিশ সবসময় নিয়োজিত আছে।
লক্ষীপুর সদরের (টি,আই) ইমরান হোসেন দিগন্তের আলোকে বলেন যারা আইন অমান্য করে গাড়ি পার্কীং, ফিটনেস বিহীন গাড়ি চালায় তাদেও বিরুদ্ধে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে ।