ব্রিজ ধসে পড়ায় ৭ গ্রামের মানুষ যোগাযোগবিচ্ছিন্ন’ ব্যাহত শিক্ষা কার্যক্রম

চন্দ্রগঞ্জ

দিগন্তের আলো ডেস্ক :-

লক্ষ্মীপুর সদরের চন্দ্রগঞ্জের রহমতখালি খালের ওপরের ব্রিজটি পানির তীব্র স্রোতে হঠাৎ ধ্বসে পড়েছে। কফিল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের মূল ফটকের এ ব্রিজ এখন সম্পূর্ণ চলাচল অনুপযোগী। এতে করে একদিকে যেমন শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় কয়েকটি গ্রামের প্রায় লাখো মানুষ।

এদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে, নতুন ব্রিজ নির্মাণ ও বিকল্প ব্রিজ তৈরীর প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে।

স্থানীয়রা জানান রহমতখালি খালে তীব্র স্রোত বয়ে চলেছে। খালের উপর ধ্বসে পড়েছে ব্রিজ। দক্ষিণাংশের সড়কসহ ব্রিজটির মাঝামাঝি পর্যন্ত অনেকটাই বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। ৪টি পিলার হেলে পড়েছে খালে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, নারী-শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ এখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাছের গুড়ি দিয়ে ওই সড়কে পারাপার হচ্ছেন।

এসময় স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কয়েকজন শিক্ষার্থী, চন্দ্রগঞ্জ কলেজের শিক্ষক ও স্থানীয় এলাকাবাসী গণমাধ্যমকে তাদের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে বলেন, চন্দ্রগঞ্জ কলেজের মূল ফটকে অবস্থিত এ ব্রিজটি হঠাৎ ধ্বসে পড়েছে। এতে করে ওই কলেজের প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর একমাত্র চলাচলের সড়কপথ এখন বন্ধ হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়; পাশের গনিপুর, পূর্ব রাজাপুরসহ ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ১০ হাজার শিক্ষার্থী পড়েছেন বিপাকে। কলেজের এইচএসসি ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান কফিল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের সহকারি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম।

এলাকাবাসী বলছেন, শেখপুর, রাজাপুর, রামকৃষ্ণপুর, চরশাহী ইউনিয়ন হয়ে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর-চৌমুহনী সড়কের সঙ্গে এসব এলাকার অন্তত ১০ হাজার শিক্ষার্থীসহ লাখো মানুষের প্রতিনিয়ত যাতায়াত ছিল। বর্তমানে ব্রিজ ভেঙ্গে এসব মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে জানান।

জানা যায়, প্রায় ৪০ বছর পূর্বে ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর ব্রিজটি নির্মাণ করে। ১৯ মিটার দৈর্ঘের ব্রিজটি অনেকটাই নড়বড়ে ছিল। বন্যা পরবর্তী উজানের পানি, অতিবৃষ্টি ও তীব্র স্রোতে পাড়ের মাটি সরে গিয়ে ব্রিজটি ধ্বসে পড়েছে।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইকরামুল হক বলেন, রহমতখালি খালে তীব্র স্রোতে ব্রিজটি ধ্বসে পড়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় ওই স্থানে ৩০ মি: দৈর্ঘ্যের একটি নতুন ব্রীজ নির্মাণ ও বিকল্প ব্রিজ ব্যবস্থা করতে মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই বিকল্প ব্রিজ নির্মাণের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *