সাহাদাত হোসেন (দিপু) :-
কালবৈশাখী ও আকস্মিক বৃষ্টিতে লক্ষীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
লক্ষীপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে গতকাল মঙ্গলবার বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়েছে। কোথাও কোথাও বৃষ্টি স্বস্তি দিলেও শিলাবৃষ্টিতে জেলার অনেক এলাকায় ধান আম-লিচুর মুকুলসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কালবৈশাখী ঝড়ে উপড়ে গেছে গাছ। বোরো ধান মাটিতে পড়েছে অনেক জায়গায়। জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার কুশাখালী এলাকার কৃষক বেল্লাল জানান, সে এবার ৩ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়েছে। দিঘলী ইউপির চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান বলেন, শিলাবৃষ্টিতে এই ইউনিয়ন ও এর আশেপাশে কৃষকদের অন্তত তিরিশ লক্ষ টাকার ক্ষতি হবে।
কমলনগরের কৃষক কুদ্দুস বলেন, ‘আমার তিন বিঘা জমির গম, মশুর, কলাই সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার বেশির ভাগ এলাকায় আমের মুকুল ঝরে পড়েছে,। বিভিন্ন গ্রামের অনেকের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার রায়পুর, বশিকপুর , পানপাড়া, কমলনগর , উত্তর জয়পুর সহ বিভিন্ন এলাকায় সকালে বৃষ্টির সঙ্গে শীলা ও প্রচন্ড বাতাস বইছে । কোথাও কোথাও বাড়ির উঠান, রাস্তা ও ফসলের ক্ষেত শিলায় সাদা হয়ে যায়। এতে সরিষাসহ কিছু রবিশস্য ও আম-লিচুর মুকুলের ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।
ঝড়ের সঙ্গে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে আলুসহ মৌসুমি শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভোর পাঁচটা থেকে টানা তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে অনেক নিচু এলাকা। বেশ কয়েক দফা দমকা বাতাসের কারণে গোটা থানায় ভেঙে পড়ে স্বাভাবিক বিদ্যুৎ সরবরাহ।
সদর উপজেলায় প্রায় ৪০ টি ইটভাটা রয়েছে। হঠাৎ বৃষ্টিতে প্রায় সব ভাটার কাঁচা ইটের (কোটি টাকার) ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইটভাটার মালিকরা।
লক্ষীপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাছান ইমাম বলেন শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে ফসলের কিছুটা ক্ষতি হলেও বৃষ্টি হওয়াতে কিছু ফসলের জন্য আবার অনেক ভালো হয়েছে।