দিগন্তের আলো ডেস্ক :-
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে লক্ষ্মীপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে বাদীর আইনজীবী আহমদ ফেরদৌস মানিক গণমাধ্যমকর্মীদের মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার আসামি হলেন— সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মহি উদ্দিন খাঁন আলমগীর, মেজর জেনারেল তারেক সিদ্দিকী, মেজর শহিদুল হক, মেজর জেনারেল জিয়াউল হাসান, হাসান মামুদ খন্দকার, সালাহ্ উদ্দিন টিপু, শিবলু, ইকরাম উদ্দিন, মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু, মাসুদুর রহমান, বায়েজিদ ভূঁইয়া, তানভির হায়দারসহ ৩৫ ব্যক্তির নাম এ মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর সকালে বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিন সাবুর বাসায় হানা দেয় র্যাব-১১ এর একটি দল। তখন তার বাসার দরজা ভেঙে র্যাব সাবুর পায়ে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়লে যুবদল নেতা জুয়েলসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সাবুর বাসার দিকে মিছিল নিয়ে রওনা হয়। মিছিলটি চকবাজার এলাকায় পৌঁছলে র্যাব সদস্যরা মিছিলে গুলি চালায়। তখন যুবদল নেতা জুয়েল গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সেখান থেকে র্যাব তার লাশ নিয়ে চলে যায়। দুইটি ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে ওইদিন বিক্ষুব্ধ বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে র্যাব -১১ এর দিনব্যাপী সংঘর্ষ বাধে। পরে বিকেলে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার এসে অবরুদ্ধ র্যাব সদস্যদের জেলা পুলিশ লাইন থেকে উদ্ধার করে।
সেদিন র্যাবের গুলিতে জুয়েল, মাহবুব ও শিহাব নিহত হয়। মাহবুব, শিহাবের লাশ উদ্ধার হয়। কিন্তু আজও জুয়েল জীবিত না মৃত— এ উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছে তার পরিবার।
মামলার বাদী বিএনপি নেতা সাবু বলেন, অন্যায়ভাবে র্যাব সেদিন আমার বাসায় ঢুকে আমার ওপর নির্যাতন করে। এবং আমার পায়ে গুলি করে। দীর্ঘ ১০টি বছর আমি মামলা করতে পারিনি। দেশ-বিদেশ আমি পালিয়ে বেড়ালাম। আমি আশা করি, এ মামলার ন্যায়বিচার পাবো।
বাদী পক্ষের আইনজীবী আহমদ ফেরদৌস মানিক বলেন, লক্ষ্মীপুর (সদর) কোর্টের বিচারক আবু সুফিয়ান নিজাম বাদীর মামলা আমলে নিয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন মামলাটি এন্ট্রি করার জন্য।