দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
জেলায় আজ বহুল আলোচিত রাসেল’স ভাইপার (চন্দ্রঘোড়া) সাপের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট-এর পরিচালক মো. ছানাউল্যা পাটওয়ারী।
লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান -এর সভাপতিত্বে এ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মেদ কবির।
আরও বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউসুফ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান, লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রনজিত কুমার, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক জাকির হোসেন ভূঁইয়া আজাদ প্রমুখ।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন ও উপকূলীয় বন বিভাগ, নোয়াখালী (লক্ষ্মীপুর জেলা) যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
সভায় বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট এর পরিচালক মো. ছানাউল্যা পাটওয়ারী জানান, পৃথিবীতে প্রায় চারহাজার প্রজাতির সাপ আছে। এর মধ্যে ২০% সাপ বিষধর বাকী ৮০% সাপ বিষধর নয়। বিশ্বে বছরে ৬ থেকে ৭ হাজার মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায় এবং আক্রান্ত হয় ৪ লাখ থেকে ৬ লাখ মানুষ। তবে অনেকে না জেনে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ মেরে ফেলছে। তাই কোন সাপ বিষধর তা জানা এবং কেউ আক্রান্ত হলে দ্রুত রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অথবা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দিলে রোগী দ্রুত সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দেরী হলে অনেক সাপে আক্রান্ত রোগীর মারা যেতে পারে। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে ১১৯ প্রজাতির সাপ রয়েছে এর মধ্যে সামুদ্রিক ১৬ প্রজাতির সাপ বিষধর। মূলত যে সকল সাপ কামড় দিয়ে ছেড়ে দেয় সেই গুলো বিষধর আর যারা খাবার খাওয়ার সময় প্যাচ দিয়ে থাকে তারা বিষধর না। দেশে গোখরা, কেউটে, চন্দ্রঘোড়া (রাসেল ভাইপার), সবুজ ঘোড়া, সামুদ্রিক সাপ বিষধর।
তিনি আরও জানান, দেশে রাজশাহী অঞ্চল-সহ অনেক জেলায় রাসেল ভাইপার সাপ আছে। এই সাপ ডিম দেয়না তবে বাচ্ছা দেয়। বাচ্চা বড় হতে ৬-৭ মাস সময় লাগে। প্রতি বছর জুন-জুলাই মাসে বাচ্চা দেয়। রাসেল ভাইপার কামড়ে ৪০ মিলি গ্রাম বিষ দিলে সেই মানুষ মারা যাবে। তবে তাদের শরীরে সর্বোচ্চ ২০০-২৫০ মিলি পর্যন্ত বিষ থাকে।
এ সভায় জেলার বিভিন্ন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা, বন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, সাংবাদিক-সহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।