দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ্মীপুরে সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে মাসিক চাঁদাবাজির অভিযোগে রাশেদ নিজাম (৪০) নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পুলিশ ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে। আসামি রাশেদ এখন জেলা কারাগারে রয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার হাজিরপাড়া এলাকা থেকে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
এরআগে মো. মামুন নামে একজন সিএনজি অটোরিকশা চালক তার বিরুদ্ধে আদালতে এজাহার দায়ের করেন।
রাশেদ নিজাম সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের রতনেরখিল গ্রামের ফজলুল করিমের ছেলে। তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক।
বাদি মামুন একই উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের মো. মনির হোসেনের ছেলে। গত ১১ জুলাই তিনি সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী অঞ্চল চন্দ্রগঞ্জ আদালতে এজাহার দায়ের করেন। আদালত এজাহারটি এফআইআর হিসেবে নিতে চন্দ্রগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দেন৷ (মামলা নং-১০)।
বাদি এজাহারে উল্লেখ করেন, তিনি লক্ষ্মীপুর-চন্দ্রগঞ্জ সড়কের সিএনজি অটোরিকশা চালক। গত তিন মাস ধরে ওই রুটে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের কাছ থেকে টোকেনের মাধ্যমে মাসিক ছয়শ টাকা করে চাঁদা আদায় করে রাশেদ নিজাম ও তার সহযোগীরা। তাকেও বিভিন্ন সময়ে মাসিক চাঁদা দিতে চাপ প্রয়োগ করে। সর্বশেষ গত ৭ জুলাই চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় মান্দারী বাজারের সিএনজি স্ট্যান্ডে তাকে হত্যার হুমকি দেয় আসামিরা।
অভিযোগ রয়েছে, রাশেদ নিজাম স্থানীয় সংসদ সদস্যের নাম ভাঙিয়ে সিএনজি স্ট্যান্ডে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করছেন। এতে সিএনজি অটোরিকশা চালকরা অতিষ্ঠ ছিল। মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করতেন তিনি।
প্রতিকার পেতে রাশেদের বিরুদ্ধে সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের কাঁঠালী গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. সিফাত হোসেন জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক জানান, আদালতের নির্দেশে এজাহারটি এফআইআরভূক্ত করা হয়েছে। প্রধান আসামী রাশেদ নিজামকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।