ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়েছেন প্রভাষক

অপরাদ রায়পুর

 

দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-

দুই স্ত্রী চলে যাওয়ার পর সন্তানকে বোনের বাসায় রেখে নিজের কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে প্রভাষক ত্রিদীপ পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে। তিনি ওই কলেজের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক।

অভিযুক্ত প্রভাষক নোয়াখালীর চৌমুহনীর ধীরেন্দ্র পাটোয়ারীর ছোট ছেলে। চাকরির সুবাদে তিনি রায়পুর শহরে বাসা ভাড়া করে থাকেন।

মঙ্গলবার সকালে ওই কলেজে গেলে অধ্যক্ষ সাইফ উদ্দিন বিষয়টি জানান ।

জানা গেছে, কলেজের ইংরেজি প্রভাষক ত্রিদীপ পাটোয়ারীর কাছে প্রাইভেট পড়ত একই প্রতিষ্ঠানের একাদশ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী। বিনা টাকায় প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে ফুঁসলিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওই শিক্ষক। সোমবার সকালে কলেজে গেলে আর বাড়ি ফেরেনি ওই ছাত্রী।

খোঁজাখুঁজির পরে না পেয়ে সহপাঠীদের কাছে খোঁজ নেন মেয়েটির বাবা। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শিক্ষক ত্রিদীপকে ফোন করেন; কিন্তু তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে মঙ্গলবার সকালে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে রায়পুর থানায় একটি নিখোঁজ সাধারণ ডায়েরি করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রভাষক ত্রিদীপের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

ছাত্রীর মা বলেন, কলেজের ইংরেজি প্রভাষক ত্রিদীপকে আমি অনেক বিশ্বাস করতাম। টাকার জন্য আমার মেয়ে প্রাইভেট পড়তে পারতাম না কিন্তু ত্রিদীপ মেয়েকে বিনা বেতনে পড়ানোর জন্য নানানভাবে চাপ সৃষ্টি করত। সে যে এত বড় খারাপ, তা আমি জানতাম না।

কলেজের অধ্যক্ষ সাইফ উদ্দিন বলেন, প্রায় ৮ বছর ধরে ত্রিদীপ এই কলেজের ইংরেজি বিভাগে শিক্ষকতা করছেন। আগেও এক হিন্দু মেয়েসহ একাধিক ঘটনার জন্য তাকে সতর্ক করা হয়। আমি বিশ্বাসই করতে পারিনি, ত্রিদীপ নিজ সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীকে নিয়ে পালিয়েছেন। বিষয়টি জানার পর থানা পুলিশ ও কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। তার বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রায়পুর থানার ওসি ইয়াসিন ফারুখ মজুমদার বলেন, আমাদের কাছে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন মেয়ের বাবা। আমি তৎক্ষণাৎ তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করি এবং তদন্ত করে জানতে পারি শিক্ষক ওই ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাকে নিয়ে পালিয়েছে। ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে বলেও জানান তিনি।

সাত বছর আগে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে দুই বিয়ে করেন কলেজ শিক্ষক ত্রিদীপ পাটোয়ারী। তার দুই ছেলে সন্তানও রয়েছে। এক সন্তানকে নিজ ছোট বোনের কাছে নোয়াখালীর মাইজদি শহরে রেখে চাকরির সুবাদে রায়পুর শহরে ভাড়া বাসায় থাকেন ওই শিক্ষক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *