দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
মেঘনা উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর বঙ্গোপসাগর থেকে খুব কাছে হওয়ায় প্রতিটি প্রাকৃতিক দুর্যোগেই ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। এতে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রিমালেও লক্ষ্মীপুর ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে। রিমালের প্রভাবে নদীতে জোয়ারের পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। এছাড়া ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এমন পরিস্থিতি থেকে মানুষসহ গবাদিপশু রক্ষায় লক্ষ্মীপুরে ১৮৯ টি স্থায়ী ও অস্থায়ী সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়কালীন মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে ৬৪টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
শনিবার (২৫ মে) রাতে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমটির প্রস্তুতি সভায় এসব তথ্য জানান।
সভায় জানানো হয়, দুর্যোগকালীন ত্রাণ তহবিলে ১৯ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ৪৫০ মেট্রিক টন চাল রয়েছে। দুর্যোগ থেকে মানুষ ও গৃহপালিত প্রাণী রক্ষায় ফায়ার সার্ভিস, জনপ্রতিনিধি ও রেড ক্রিসেন্টসহ স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করবে।
জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, উপজেলা প্রশাসনও ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষায় বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণে সভা করেছে। এর থেকে রক্ষায় আমাদেরকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে চরাঞ্চলসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার কাজ শুরু করা হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা-ই রাফিন সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেহের নিগারসহ সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।