দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মন্দিরে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী মতবিনিময় সভা করা হয়েছে। এ সময় অন্তত ১ হাজার মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। শেষে পৌর এলাকায় অবস্থিত ৩টি মন্দিরে ৩ লাখ টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন পৌরসভার মেয়র।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে উপজেলা শহরের মুড়িহাটা মন্দিরে রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট এ আয়োজন করেন। দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে রায়পুর উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্দির সংশ্লিষ্ট ৫ জন সনাতন ধর্মাবলম্বী জানান, মন্দিরে নির্বাচনী প্রচারণার সভা আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত মানুষের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। তবে প্রসাদের জন্য খরচ দেন রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট। তিনি আনারস প্রতীকের পৌরসভার নির্বাচনী সমন্বয়ক। মতবিনিময় সভা ও খাবার বিতরণে প্রার্থী মামুনুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন। পরে পৌর এলাকায় অবস্থিত ৩টি মন্দিরে ৩ লাখ টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন পৌরসভার মেয়র।
প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী আলতাফ হোসেন হাওলাদার বলেন, মামুনুর রশিদ লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়নের ভগ্নিপতি। এজন্য তারা সবসময় প্রভাব বিস্তার ও আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।
রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, পৌরসভার সমস্যা-সম্ভাবনা নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে আমি মন্দিরে মতিবিনিময় করি। খাবারের ব্যবস্থাও আমি করেছি। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে বলে এমপি আসার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। পরে আনারস প্রতীকের প্রার্থী নির্বাচনী মতিবিনিময় করেন। অন্যস্থানে জায়গা না থাকায় মন্দির এলাকায় সভা করা হয়েছে।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয়াংকা দত্ত বলেন, মন্দিরে নির্বাচনী প্রচারণা ও খাবার বিতরণের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কে অভিযোগ করেছেন জানাননি তিনি।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী ধর্মীয় উপাসনালয়ে নির্বাচনী প্রচারণা ও ভোটারদের মাঝে খাবার বিতরণ করা যাবে না।