দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে অস্ত্র মামলায় জুয়েল চন্দ্র দাস ওরফে জুয়েল রানা (২৭) নামের এক যুবকের ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় মো. সুজন নামে একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১২ মে) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন এ রায় দেন।
জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, আসামি জুয়েলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাকে অস্ত্র আইনের ১৯ এ ধারায় ১০ বছর ও ১৯ এফ ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত জুয়েল রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
দণ্ডপ্রাপ্ত জুয়েল নোয়াখালী জেলার চর জব্বর থানাধীন চরবাটা গ্রামের কৃষ্ণ চন্দ্র দাসের ছেলে। খালাসপ্রাপ্ত সুজন লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরগাজী গ্রামের নুরুল হকের ছেলে।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি রাতে রামগতির হাজিরহাট বাজার থেকে পুলিশ একটি একলানা বন্দুক ও ৯টি কার্তুজসহ জুয়েল দাসকে আটক করে। তার সঙ্গে থেকে জুয়েল নামের আরও এক কিশোরকে আটক করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসবাদে আটকরা জানায়, অস্ত্রটি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সস্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর উদ্দেশ্যে সুজন নামে এক ব্যক্তি জুয়েল দাসের কাছ থেকে ভাড়া করে। নির্বাচন শেষে অস্ত্র নিয়ে যাবার সময় তারা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। এ ঘটনায় পরদিন রামগতি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের বাদী হয়ে আটক দুজনসহ তিনজনের নামে অস্ত্র আইনে মামলা করে। একই বছরের ১১ এপ্রিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ মামলাটি তদন্ত করে অভিযুক্ত জুয়েল রানা ও সুজনের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেন।
এদিকে বন্দুকসহ আটক হওয়া কিশোর জুয়েল (১৯) অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তার মামলাটি বিচারের জন্য কিশোর আদালতে পাঠানো হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পৃথক তদন্ত প্রতিবেদন কিশোর আদালতে দাখিল করেন। তবে ওই কিশোর আদালতে মামলাটির রায় হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি। জুয়েল নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরজব্বর থানাধীন মধ্যম বাগ্যা গ্রামের মাকছুদ হাওলাদারের ছেলে। আটকের সময় তার বয়স ১৪ বছর ছিল।