দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
- লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে অবৈধ জাল ব্যবহার করায় ২১ জেলেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (৫ মে) দুপুরে তাদের বিরুদ্ধে রামগতি থানায় মৎস্য আইনে মামলার পর গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত জেলেরা হলেন রুহুল আমিন মাঝি, শরীফ, বজলুর রহমান, ইব্রাহিম, বাবুল হোসেন, রাকিব, মো. ইস্রাফিল, মো. জুয়েল, হুমায়ুন কবীর, জুয়েল হোসেন, আক্তার হোসেন, মো. জামাল, আলী হোসেন, মো. জাহিদ, রুহুল আমিন, জাকির হোসেন, হেলাল উদ্দিন, মো. হাসান, নুরনবী ও আবুল খায়েরসহ ২১ জন। তারা সবাই ভোলার দৌলতখান এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, অবৈধ পিটানো জাল দিয়ে নদীতে মাছ শিকার আইনত নিষিদ্ধ। নদীতে এ জাল ব্যবহারে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিনষ্ট হয়ে যায়। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় রামগতি উপজেলার চর আবদুল্লাহর পশ্চিমে মেঘনা নদীতে অভিযান চালানো হয়। এসময় কয়েকজনকে আটক করা গেলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে রোববার সকালে ফের অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত জেলেদের আটক করা হয়।
এ ঘটনায় বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক ফেরদৌস আহম্মদ বাদী হয়ে মৎস্য আইনে আটক জেলেদের বিরুদ্ধে রামগতি থানায় মামলা করেন।
পুলিশ পরিদর্শক ফেরদৌস আহম্মদ বলেন, অবৈধ জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করায় ২১ জনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।