দিগন্তের আলো ডেস্ক :
লক্ষ্মীপুর জেলার ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ১৯৮৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুর কে জেলা ঘোষণা দিয়ে এর উদ্বোধন করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক লেঃ জেনারেল হুসেইন মোঃ এরশাদ। এর আগে লক্ষ্মীপুর ছিল নোয়াখালী জেলার একটি উপজেলা।
লক্ষ্মীপুর জেলার ইতিহাস গ্রন্থ লক্ষ্মীপুর ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর মেঘনা উপকূলীয় একটি জনপদ। চরাঞ্চল ও প্রত্যন্ত গ্রাম এ অঞ্চল কে সম্মৃদ্ধ করেছে। মেঘনা ও বঙ্গোপসাগরের কুল ঘেঁষে গড়ে ওঠা এ জনপদ নারিকেল, সুপারি, ইলিশ এবং সয়াবিনের জন্য পুরো দেশে বিখ্যাত। নদী ভাঙ্গা এ এলাকার প্রধান সমস্যা। ইংরেজ শাসনামলে এ জনপদের নামকরণ করা হয়।
বৃটিশ আমল থেকে শুরু করে সব কয়টি রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে রয়েছে লক্ষ্মীপুরের গুরুত্বপূর্ন ইতিহাস। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বদেশে ফেরার পর প্রথম যে গ্রামে এসে দেশ গড়ার ডাক দেন সে গ্রামও লক্ষ্মীপুর জেলায়।
ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক কমরেড তোয়াহা এবং সানা উল্লাহ নূরীর জন্ম স্থান লক্ষ্মীপুরে। দেশের জাতীয় পতাকা যিনি সর্ব প্রথম উড়িয়েছেন সেই আ স ম আবদুর রবের জন্মভূমি এ লক্ষ্মীপুরে।
১৯৭১ সালে এখানেও ছোট বড় কয়েকটি যুদ্ধ সংগঠিত হয়। ৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ এ পাকিস্তানী শাসনের পরাধীনতা থেকে লক্ষ্মীপুর মুক্ত হয়। জাতীয় সংসদের সাবেক স্পীকার ও রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ উল্লাহর জন্মস্থান লক্ষ্মীপুর। এভারেষ্ট পর্বত বিজয়ী প্রথম বাংলাদেশী নারী নিশাদ মুজমদার, শত দেশ ভ্রমণকারী নারী নাজমুন নাহার সোহাগী লক্ষ্মীপুরের নাগরিক হিসাবে গর্ববোধ করেন।
কমরেড তোয়াহার হাতে বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, মরহুম জমির আলীর হাতে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, আ স ম আবদুর রবের হাতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল সাবেক জাসদ বর্তমানে জেএসডিসহ অন্তত ৫টি বাংলাদেশী রাজনৈতিক দলের জন্মদাতাদের জন্মভূমি লক্ষ্মীপুর।