দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ্মীপুরে বিষপান করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাফায়েত হোসেন (২৪) নামে এক রোগীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সদর হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মচারী রিফাত হোসেনসহ (২২) কয়েকজনকে নিয়ে তাকে মারধর করেন।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হাসপাতালের দ্বিতীয়তলায় এ ঘটনা ঘটে। ভূক্তভোগী সাফায়েত লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইটের পোল এলাকার কাশেমের ছেলে।
এদিকে মারধরের ঘটনাটি জানতে পেরে অভিযুক্ত রিফাতকে তার দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
সাফায়েত ও তার স্বজনরা জানায়, গত তিনদিন আগে সাফায়েত পরিবারের সাথে অভিমান করা বিষপান করেছে। পরে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি হাসপাতালের ২য় তলায় পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার সকালে নাস্তা করতে তিনি হাসপাতালের বাইরে বের হন। নাস্তা শেষে বেডে যাইতে চাইলে হাসপাতালের কর্মচারী রিফাত তাকে বাধা দেয়। এনিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রিফাত তাকে মারধর করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগী দেখার সময় ওয়ার্ডের কলাপসিবল গেইট আটকে দেওয়া হয়। ঠিক তখনই শাফায়েত ভেতরে ঢুকতে চাইলে রিফাত বাধা দেয়। এনিয়ে দুইজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়৷ চিকিৎসক রোগী দেখে চলে যাওয়ার পর রিফাত তাকে ঢুকতে দেউ। এরপর সাফায়েত তার বেডে গেলে পুনরায় রিফাতের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রিফাত কয়েকজনকে নিয়ে এসে তাকে মারধর করে। তাকে বাঁচাতে এলে বোন নেহার আক্তার, স্বজন সুজন ও শ্রাবণ আহমেদ মারধরের শিকার হন। মারধরের এক পর্যায়ে হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে বের হয়ে রাস্তার ওপর লুটিয়ে পড়ে সাফায়েত। এরপরও তাকে মারধর করা হয়।
সাফায়েতের বোন ববি আক্তার বলেন, ঘটনাটি আমরা হাসাপাতালের আরএমওকে জানিয়েছে। আমরা উপযুক্ত বিচার চাই। এ ধরণের লোক হাসপাতালে থাকলে রোগী ও স্বজনরা ঝুঁকিতে থাকবেন। চিকিৎসার পরিবর্তে রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
বক্তব্য জানতে চেষ্টা করেও রিফাত হোসেনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।