দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুপক্ষের সংঘর্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (৪ ফেব্রয়ারি) সকালে কমলনগর উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহতরা হলেন ইসমাইল, মোসলেহ উদ্দিন, ইব্রাহিম, আরিফুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, কহিনুর বেগম, দুলাল বাঘা, মাশকুরা বেগম, সেলিনা বেগম, সিজলু আক্তার ও শাহিদা বেগম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল আবেদিনের দুই ছেলে ও এক মেয়ের কাছ থেকে মোসলহ উদ্দিন ও দুলাল বাঘাসহ কয়েকজন ৭৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। কিন্তু জয়নালের আরও তিন ছেলে ও তিন মেয়ে থাকায় জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। একাধিবার সালিশি বৈঠক করেও সমাধান হয়নি। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান।
আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জমি কিনেও দীর্ঘদিন ধরে মোসলেহ উদ্দিন দখলে যেতে পারছেন না। এতে ঘটনার সময় মোসলেহ উদ্দিন লোকজন নিয়ে জমি দখল করতে আসেন। এসময় জমি ক্রেতা দুলাল বাঘার স্বজনরা তাদের বাধা দেয়। এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মোসলেহ উদ্দিনের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। এসময় দুলাল বাঘার স্বজনরাও পাল্টা আক্রমণ করেন। উভয়পক্ষের লোকজন একে অপরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুলালকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আটক দুলাল বাঘার ছেলে মোকতার বাঘা জাগো নিউজকে বলেন, আমরা খরিদসূত্রে জমির মালিক। কিন্তু জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। কিন্তু কোনো সমাধান ছাড়াই মোসলেহ উদ্দিন জমি দখল করতে আসেন। এতে বাধা দিলেই তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে।
তবে মোসলেহ উদ্দিন বলেন, আমি ৭০ শতাংশ জমি কিনেছি। ঘটনার সময় ওই জমি চাষ করতে গেলে দুলাল বাঘা ও তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমাদেরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে। আমার ভাগিনা ইসমাইলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ বিষয়ে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।