লক্ষীপুরে ষষ্ঠ শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী বিয়ে ছাড়াই ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা,

চন্দ্রগঞ্জ

সাহাদাত হোসেন দিপু :-
লক্ষীপুরে বৈশাখী (১৩) নামের ষষ্ঠ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী বিয়ে ছাড়াই ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। অস্বীকার করছেন অভিযুক্ত বিপ্লব।
বৈশাখী লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার দিঘুলী ইউনিয়নের পূর্ব দিঘুলী গ্রামের দায়ী বাড়ির শফিকের মেয়ে,ও দিঘুলী ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। এবং অভিযুক্ত বিপ¬ব একই ইউনিয়নের পূর্ব দিঘুলী গ্রামের ভূইয়া বাড়ির প্রবাসী রহিম কাজীর ছেলে। বিপ্লব একই মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে বৈশাখী বলেন বিপ্লব আর আমি একই মাদ্রাসায় পড়ি, এবং তাদের বাড়ি আমাদের বাড়ির পাশে সেই সুবাদে আমরা এক সাথে মাদ্রাসায় আশা যাওয়া করতাম। একদিন বিপ্লব আমাকে জরুরি কাজ আছে বলে তাদের ঘরে ডেকে নিয়ে যায়, এবং জোর পূর্বক আমাকে ধর্ষণ করে এবং ভয়ভীতি দেখায় আমি যদি কাউকে বলি তাহলে আমাকে মেরে ফেলবে তাই আমি বয়ে কাউকে বলি নাই। বিপ্লব আমার এতো বড় সর্বনাশ করেছে আমি এর বিছার ছাই। বিছার না পেলে আমার আত্তহত্যা ছাড়া আর কোন পথ থাকবে না।
বৈশাখীর বাবা শফিক (ঝাল মুড়ি বিক্রেতা) তিনি বলেন আমি ঝাল মুড়ি বিক্রি করে কোন রকম সংসার চালাই। আমি আমার মেয়েকে নিয়ে এখন কই যাবো, আমি প্রশাসনের কাছে এ-র সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
অনেক চেষ্টা করেও বিপ্লবের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি, তবে বিপ্লবের নানা দিগন্তের আলোকে বলেন আমার নাতি বিপ্লব এমন কাজ কখনোই করতে পারে না। এই মেয়ে প্রথমে ৪/৫ জন ছেলের কথা বলছে, এখন আবার আমার নাতি বিপ্লবকে ফাসানোর জন্য তার নাম বলছে, এলাকার সবাই জানে এই মেয়ের চরিত্র কেমন, তিনি আরও বলেন আমার নাতি বিপ্লব যদি সত্যি অপরাধ করে থাকে তাহলে তাকে ডিএনএ পরীক্ষা করা হোক।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিপ্লবের চাচা হারুন কাজী বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট মেয়ে ও মেয়ের পরিবার সহ এলাকার ঘুটি কয়েক লোকজন আমার ভাতিজাকে অন্যায়ভাবে ফাঁসাতে চাইছে। এই মেয়েটির চরিত্র অনেক খারাপ এর আগেও সে অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে।
দিঘুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মুজিব দিগন্তের আলোকে বলেন, বৈশাখী ও তার পরিবার আমার কাছে আসছে। আমি বিস্তারিত শুনেছি এবং তাদেরকে আইন আনুক ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য বলছি। আমি চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি জসিম সাহেবকে বিষয়টি অবগত করেছি।
দিঘুলী ইউনিয়ন পরিষদের ৪,৫, ও ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য হামিদা বলেন এই বিষয়টি আমি অবগত আছি। এবং যতটুকু জেনেছি বিপ¬ব নামের ছেলেটি এই ঘটনার সাথে জড়িত , তাই আমি মেয়ের পরিবারকে বলছি আইনের সহযোগিতা নেওয়ার জন্য।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন দিঘুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমাকে বিষয়টি অবগত করেছেন। তবে এখনো পর্যন্ত থানায় কোন পক্ষ এসে অভিযোগ করে নাই। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইন আনুক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *