নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী

সদর

দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-

লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনে ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী রাকিব হোসেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা শহরের ঝুমুর এলাকায় নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।

রাকিব হোসেন বলেন, সারাদেশে প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। লক্ষ্মীপুরের সাধারণ মানুষ নির্বাচন থেকে বিমুখ হয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র বিশেষ সুবিধাভোগী কিছু লোক নির্বাচনের মাঠ গরম রেখেছে। নির্বাচনে কালো টাকার ব্যাপক ছড়াছাড়ি হচ্ছে। কালো টাকার প্রভাবে কেন্দ্রে এখন এজেন্ট দেওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন জায়গায় আমার পোস্টার ছিঁড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। তাই সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় কেন্দ্রের নির্দেশে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।

রাকিব জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। গত ৫ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়নে নৌকার প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকুর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে জাল ভোট ও কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযাগ এনে ওইদিন দুপুরেই তিনি ভোট বর্জন করেন। তখন তিনি এ ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন। উপনির্বাচনে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক মহিউদ্দিন খোকন, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন এমরান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান, সদস্য মিনহাজুর রহমান বিন্তু, পৌর জাতীয় পার্টির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহ উদ্দিন খোকন প্রমুখ।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কি না, তা আমার জানা নেই। সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকা ও কালো টাকার ছড়াছড়ি নিয়ে আমাদের কাছে তিনি কোনো অভিযোগও করেননি।

প্রসঙ্গত, সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে লক্ষ্মীপুর-৩ আসন গঠিত। এ আসনে ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৪৩ জন ভোটারের মধ্যে ২ লাখ ৯ হাজার ৯০ জন পুরুষ, ১ লাখ ৯৪ হাজার ৬৫২ জন নারী ও ১ জন হিজড়া ভোটার রয়েছে। রাকিব ছাড়াও এ আসনে আরও ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন। তারা হলেন- নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী ঢাকার মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সাত্তার (ট্রাক) বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির মাহাবুবুল করিম টিপু (হাতুড়ি), তৃণমূল বিএনপির মো. নাইম হাসান (সোনালী আঁশ) ও

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *