প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায়” লক্ষ্মীপুর-২ আসনে প্রার্থী সংখ্যা ১৩।

Uncategorized

দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-

উচ্চ আদালতে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এএফ জসিম উদ্দিন আহমেদকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আসনটিতে ভোটের মাঠে নতুন করে ‘ট্রাক’ প্রতীক যুক্ত হয়েছে। এনিয়ে এখানে ১৩ জন প্রার্থী ভোটের মাঠে রয়েছেন।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান তাকে এ প্রতীক বরাদ্দ দেন।

প্রার্থী ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৩ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর-২ আসনের প্রার্থিতা যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন ছিল। ওইদিন মনোনয়ন ফরমের তৃতীয় পাতা অসম্পূর্ণ ও দুইজন ভোটার সমর্থন না করায় জসিম উদ্দিনের মনোয়ন বাতিল করা হয়। পরে তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। সেখানেও তার আবেদন নামঞ্জুর হয়। পরে তিনি উচ্চ আদালতে যান। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) উচ্চ আদালত তার প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিন ‘আমরা ক’জন মুজিব সেনা’ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। তিনি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়নের টুমচর গ্রামের বাসিন্দা।

ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী এএফ জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, রায়পুর উপজেলা ও পৌরসভাসহ সদরের ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে লক্ষ্মীপুর-২ আসন গঠিত। এ আসনটি অবহেলিত থেকে গেছে। অনেকেই এখানে এমপি হয়েছেন। কিন্তু মৌলিক উন্নয়ন হয়নি এ আসনে। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত অবকাঠামোগুলোও অবহেলিত রয়ে গেছে। আসনটিতে মৌলিক পরিবর্তন চায় জনগণ। আমি নির্বাচিত হলে মৌলিক উন্নয়নে কাজ করবো। উপকূলীয় অঞ্চলে কৃষিখাত নিয়ে ব্যাপক উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে। এ অঞ্চলে প্রায় ১০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার উদ্যোগ নেবো।

লক্ষ্মীপুর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়নের সঙ্গে জসিম উদ্দিনসহ ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ আসনে নয়নের স্ত্রী রুবিনা ইয়াছমিন লুবনাও স্বতন্ত্র প্রার্থী (তরমুজ) হিসেবে মাঠে রয়েছেন। তবে তার কোনো প্রচার-প্রচারণা দেখা যায়নি।

অন্য প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির বোরহান উদ্দিন আহমেদ (লাঙ্গল), জাসদের মো. আমীর হোসেন (মশাল), তৃণমূল বিএনপির আব্দুল্লাহ্ আল মাসুদ (পাট), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির জহির হোসেন (একতারা), বাংলাদেশ কংগ্রেস জোটের মো. মনসুর রহমান (ডাব), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. মোরশেদ আলম (চেয়ার), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. শরিফুল ইসলাম (মোমবাতি), মুক্তিজোটের মো. ইমাম উদ্দিন সুমন (ছড়ি), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. ফরহাদ মিয়া (হাত ঘড়ি) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা ইসলাম (ঈগল)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *