- দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে বিয়ে করার দুই মাসের মাথায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের বাদামতলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
গৃহবধূর স্বামী মো. আকবর, ননদ নিরুতাজ বেগম ও নানাশ্বশুর শাহজান সর্দার মিলে তাকে হত্যাচেষ্টা করেন। হত্যাচেষ্টাকালে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আহত গৃহবধূকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চরকাদিরা ইউনিয়নের বাদামতলী এলাকার ব্যবসায়ী আবুল কালামের মেয়ে রুবি আক্তারের সঙ্গে ৬ বছর আগে একই এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে মো. মনির হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর স্বামী মনির হোসেন প্রবাসে চলে যান। এ সুযোগে প্রতিবেশী মো. গাজির ছেলে আকবর গৃহবধূকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। ব্যর্থ হয়ে ওই গৃহবধূকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করেন। পরে কিছুদিন চট্টগ্রামের একটি ভাড়া বাসায় সংসার করার পর দুই সপ্তাহ আগে গৃহবধূসহ গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন।
কিন্তু আকবরের পরিবার বিয়ে মেনে নিতে না পেরে বিভিন্ন অজুহাতে গৃহবধূ রুবির ওপর নির্যাতন চালায়। নির্যাতন সইতে না পেরে বুধবার সকালে রুবি আক্তার তার বাপের বাড়ি যেতে চাইলে ননদ ও শাশুড়ি বাধা দেয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শ্বশুর গাজি, শাশুড়ি নিরুতাজ বেগম, ননদ পারভিন আক্তার ও নানা শাহজান সর্দার গৃহবধূ রুবির গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে হত্যাচেষ্টা করেন। এ সময় গলায় রক্তাক্ত জখম অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করেন।
গৃহবধূর স্বামী মো. আকবর হোসেন গৃহবধূকে হত্যাচেষ্টার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে স্ত্রী রুবির সঙ্গে তার বাবা-মায়ের কথা কাটাকাটি হয়। মারধরের বিষয়টি সত্যি নয় বলে দাবি করেন তিনি।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. এমদাদুল হক বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।