দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনে উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণের সময় ৫৭ সেকেন্ডে ৪৩টি ব্যালটে সিল মারা চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুর রহমান চন্দ্রগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় আজাদ হোসেনকে প্রধান করে তাঁর সহযোগী রাকিব হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া চারজনকে করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা আসামি। আজাদ বর্তমানে কারাগারে।
উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, নির্বাচনের দিন ব্যালট বইয়ে ৫৭ সেকেন্ডে নৌকা প্রতীকে ৪৩টি সিল মারার ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। সেখানে দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত আজাদ হোসেনসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ওই কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কমিশনের পক্ষে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার কয়েক দিন পর আজাদ হোসেনকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে ৫৪ ধারায় কারাগারে পাঠায় পুলিশ। তিনি এখন কারাগারে। ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের ঘটনায় মামলার পর আজাদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
৫ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে একটি ভোটকেন্দ্রে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আজাদের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই নেতাকে একাধিক ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে দেখা যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, ৫৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে ভোটকক্ষে বসে এক ব্যক্তি ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে সিল মারছেন। তাঁর গলায় নৌকা প্রতীকের কার্ড ঝুলছিল। এ সময় তাঁকে ৪৩টি ব্যালটে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে দেখা যায়।