হত্যা মামলার ৪ আসামিকে আটক করেছে পুলিশ

অপরাদ সদর

দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ¥ীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নুর নবী বকুল পাটোয়ারী (৫৫) নামে এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গ্রেফতাররা হলেন- আশরাফুল রহমান বাবুল (৫০), তার ছেলে জিহাদ হোসেন (২১) ও মো. আবদুল্লাহ (২৪) এবং বাবুলের ভাই মো. হামিদ (২০)। তারা সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মহাদেবপুর গ্রামের আলী রাজা পাটোয়ারী বাড়ির বাসিন্দা।
অভিযুক্ত বাবুলকে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাতে রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া এলাকা থেকে র্যাব-১১ সদস্যরা গ্রেফতার করেন। পরে তাকে সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অন্য তিন আসামি জিহাদ, আবদুল্লাহ ও হামিদকে একইদিন দুপুরে মহাদেবপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত নুরনবী মহাদেবপুর গ্রামের মৃত অজিউল্যা মাস্টারের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন। নুরনবী তাদের আলী রাজা পাটোয়ারী বাড়ির মসজিদ কমিটির সদস্য। মসজিদের ওয়াকফ করা জমি আসামিরা বিভিন্নভাবে দখলের পাঁয়তার করে আসছে। এ জমির নারিকেল-সুপারি ও পুকুরের মাছ জোরপূর্বক নিয়ে যায় তারা। বিভিন্নসময় বাগানের মূল্যবান গাছও কেটে নিয়ে গেছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসামিপক্ষ ওই জমি থেকে সুপারি পাড়ছিল। এতে বাধা দিলে নুরনবীর সঙ্গে তাদের বাগবিত-া হয়। একপর্যায়ে তারা বকুলকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে আশপাশের লোকজন বকুলকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রাতেই নুরনবীর ভাই ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে ছয় জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এরমধ্যে এজাহারভূক্ত আসামি আবদুর রব (৫৫) ও জাফর আহম্মদ পলাশ (৫০) পলাতক রয়েছেন।

র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আসামি বাবুলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

লক্ষ¥ীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, নুরনবীর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতার চারজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
হত্যা মামলার ৪ আসামিকে আটক করেছে পুলিশ
দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ¥ীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নুর নবী বকুল পাটোয়ারী (৫৫) নামে এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গ্রেফতাররা হলেন- আশরাফুল রহমান বাবুল (৫০), তার ছেলে জিহাদ হোসেন (২১) ও মো. আবদুল্লাহ (২৪) এবং বাবুলের ভাই মো. হামিদ (২০)। তারা সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মহাদেবপুর গ্রামের আলী রাজা পাটোয়ারী বাড়ির বাসিন্দা।
অভিযুক্ত বাবুলকে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাতে রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া এলাকা থেকে র্যাব-১১ সদস্যরা গ্রেফতার করেন। পরে তাকে সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অন্য তিন আসামি জিহাদ, আবদুল্লাহ ও হামিদকে একইদিন দুপুরে মহাদেবপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত নুরনবী মহাদেবপুর গ্রামের মৃত অজিউল্যা মাস্টারের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন। নুরনবী তাদের আলী রাজা পাটোয়ারী বাড়ির মসজিদ কমিটির সদস্য। মসজিদের ওয়াকফ করা জমি আসামিরা বিভিন্নভাবে দখলের পাঁয়তার করে আসছে। এ জমির নারিকেল-সুপারি ও পুকুরের মাছ জোরপূর্বক নিয়ে যায় তারা। বিভিন্নসময় বাগানের মূল্যবান গাছও কেটে নিয়ে গেছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসামিপক্ষ ওই জমি থেকে সুপারি পাড়ছিল। এতে বাধা দিলে নুরনবীর সঙ্গে তাদের বাগবিত-া হয়। একপর্যায়ে তারা বকুলকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে আশপাশের লোকজন বকুলকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রাতেই নুরনবীর ভাই ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে ছয় জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এরমধ্যে এজাহারভূক্ত আসামি আবদুর রব (৫৫) ও জাফর আহম্মদ পলাশ (৫০) পলাতক রয়েছেন।

র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আসামি বাবুলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

লক্ষ¥ীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, নুরনবীর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতার চারজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *