দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ¥ীপুরের রায়পুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে ব্যবসায়ী সাইফুল আলম মৃধার (৬২) মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে। রোববার (১ অক্টোবর) দুপুরে সাইফুলের স্ত্রী নাসিমা বেগম রায়পুর থানায় ৯ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
এ মামলায় শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে আটক মিসু আক্তারকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। মিসু আক্তার দেলোয়ার মৃধার শ্যালিকা। মামলার অন্য আসামিদের নাম জানা যায়নি।
এরআগে শনিবার রাতে সন্ধ্যায় উপজেলার বামনী ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের কবিরহাট এলাকায় মৃধা বাড়িতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় সাইফুলসহ দুপক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হন। আহত সাইফুল আলমকে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার বামনী ইউনিয়নের কবিরহাট এলাকায় সাইফুল আলম ও তার ভাই দেলোয়ার হোসেন মৃধার মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে জমি দখল পাঁয়তারা ও হুমকি অভিযোগ এনে দেলোয়ার শনিবার দুপুরে থানায় সাইফুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ দুপক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেন। তবে সন্ধ্যায় বাগবিত-ার একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে নাহার বেগম, দেলোয়ার হোসেন মৃধা, নাজমুন নাহার, আবু মুছা মোহন ও শিমুল হোসেনসহ আটজন আহত হন। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সাইফুল আলমের স্ত্রী নাসিমা বেগম বলেন, দেলোয়ার মৃধা লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছে। এতে আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার জন্য দেলোয়ার দায়ী। আমি তার বিচার চাই।
অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন মৃধা বলেন, আমার ভাই, ভাবি, ভাতিজা অন্যায়ভাবে জমি দখল করতে আসে। এসময় বাধা দিতে গেলে তারা অতর্কিত হামলা করে আহত করে। আমি আগে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছিলাম। এরপরই আমাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তখন ভাতিজা আমাকে মারতে আসলে তা ভাইয়ের শরীরে লাগলে তিনি স্ট্রোক করেন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান।
বামনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন মুন্সি বলেন, জমি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ ছিল। ঘটনার সময় দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মারামারি হয়। পরে আহত সাইফুল মারা যান।
রায়পুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শামছুল আরেফিন বলেন, সাইফুলের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় একজন গ্রেফতার আছে। অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।