দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ¥ীপুরে পুলিশের দুই মামলায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। একই মামলায় জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমানসহ ৯ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের কারাগারে নেওয়ার সময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতার্মীরা বিক্ষোভ করে। এ সময় উত্তেজিত জনতা সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, দুই মামলায় ৯ জনকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন। একই মামলায় আদালতে অনুপস্থিত থাকায় শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ও লক্ষ¥ীপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতি আহমেদ ফেরদৌস মানিক বলেন, আমাদের তিনজন নেতা অসুস্থ। আমরা তাদের জন্য সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু আদালতে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এটি ফরমায়েশি আদেশ ছিল। বিচারকদেরকে বাধ্য করে এসব আদেশ দেওয়া হয়। দেশে আইনের শাসন নেই বলেই এমন ঘটনা ঘটছে।
গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলেন- জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম, সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান রাজন, নাদিম মাহমুদ জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, লক্ষ¥ীপুর পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল বারাকাত সৌরভ বুলেট ও সদর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়কি বায়েজীদ ভূঁইয়াসহ ৯ জন।
প্রসঙ্গত, ১৮ জুলাই লক্ষ¥ীপুরে ত্রিমুখী সংঘর্ষ ও সজিব হত্যার ঘটনায় সদর মডেল থানায় ১৯ জুলাই রাতে ৪টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। সজিবের ভাই মো. সুজন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মজুপুর এলাকায় কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম নুরুল আমিন রাজুর বাসভবন ও ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এছাড়া দায়িত্ব পালন কাজে বাঁধাসহ পুলিশকে আহত করার ঘটনায় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। বিস্ফোরক ও নাশকতার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান বাদী হয়ে আরও একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলাতেও বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ৩০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ২৭ জুলাই উচ্চ আদালত পুলিশের দুই মামলায় এ্যানিসহ ১২ জনকে জামিন দেয়।