দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ¥ীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক শিক্ষকসহ তার পরিবারের ছয়জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। সদরের লাহারকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন শাহিন ও তার লোকজন এ হামলা চালান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে লাহারকান্দি ইউনিয়নের পশ্চিম সৈয়দপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীন সওদাগর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষকের নাম কামাল হোসেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত অন্যদের সদর হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহত কামাল হোসেন চাঁদখালী এ রব উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও পশ্চিম সৈয়দপুর গ্রামের ধনু মিয়ার ছেলে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মনোয়ার একই গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, ছাত্রলীগ নেতা মনোয়ারদের সঙ্গে কামালদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ওই জমিতে মনোয়ারের ভাই রাজু ও আনোয়ার ঘর তুলতে যান। এ নিয়ে কামালের চাচাতো ভাই জামাল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে (রাজু-আনোয়ার) থানায় অভিযোগ করেন। সোমবার দুপুরে সেখানে ফের ঘর তুলতে গেলে জামালের স্ত্রী কুলসুম বেগম বাধা দেন। এতে ছাত্রলীগ নেতা মনোয়ার ও তার লোকজন কুলসুমকে মারধর করেন। এসময় তার মাথায়ও আঘাত করে তারা।
ঘটনাটি জানতে পেরে শিক্ষক কামাল তাকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নেওয়ার জন্য ঘটনাস্থল যান। এসময় মনোয়ার ও তার দুই ভাই কামালকেও এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। তাকে বাঁচাতে এলে অন্যদের ওপর হামলা চালানো হয়। পরে আহত অবস্থায় কামালসহ অন্যদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা।
শিক্ষক কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘কুলসুম আহত শুনে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য আমি বাড়িতে যাই। তখন আমার ওপর মনোয়ারসহ তার ভাইয়েরা হামলা চালান। আমাকে লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছেন।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মনোয়ার হোসেন শাহিন, তার ভাই রাজু ও আনোয়ারের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তারা আত্মগোপনে রয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শামীম হোসেন আফজাল বলেন, কামালকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তার হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের চিহ্ন রয়েছে। অন্যদের হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
লক্ষ¥ীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারকে মামলা করার জন্য বলা হয়েছে।