দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় লক্ষ¥ীপুরের কমলনগরের ওমর ফারুক মুন্সি নামে এক ইউপি সদস্যসহ সাতজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক তারেক আজিজ এ রায় দেন।
আদালতের নাজির ইয়াছিন আরাফাত জানান, আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নিয়েছেন। জামিনের সঙ্গে তাদের লক্ষ¥ীপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা নির্দিষ্ট তারিখে আত্মসমর্পণ করেননি। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য ও তথ্য গোপন রাখায় তাদের বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সাত আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার ফারুক কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও মধ্য চরমার্টিন গ্রামের ছিদ্দিক উল্যাহ মুন্সির ছেলে। অন্যরা হলেন- মধ্য চরমার্টিন গ্রামের বাবুল মুন্সি, জিসান, মো. তারেক, আনোয়ার হোসেন, রাজু আহমেদ ও সোহরাব হোসেন।
আদালত সূত্র জানায়, তাহমিনা আক্তার নামে এক নারী চাঁদাবাজি-ছিনতাই ও মারধরের ঘটনায় ফারুকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ১ মে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কমলনগর আদালতে একটি মামলা করেন। তাহমিনা চরমার্টিন ইউনিয়নের মধ্য চরমার্টিন গ্রামের বেলাল হোসেনের স্ত্রী। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কমলনগর থানাকে এফআইআর দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন। একইদিন নির্দেশনা পেয়ে কমলনগর থানা এফআইআর দাখিল করেন। এর পরপরই আসামিরা উচ্চ আদালতে আবেদনের প্রেক্ষিতে ৬ সপ্তাহের জামিন পান। তখন জামিন আদেশ চলাকালীন তাদেরকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু তারা তা করেননি। তারা ১১ জুলাই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। এরমধ্যে তারা উচ্চ আদালতের নির্দেশনার বিষয়টি গোপন রাখেন। ঘটনাটি জানতে পেরে তাদের জামিন বাতিল করে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী তাহমিনা আক্তার বলেন, ইতোমধ্যে আসামিরা জামিনে বের হয়ে আমাদের বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিয়ে দিয়েছে। ঘটনার সাক্ষীদের মারধর করবে বলে হুমকি দিয়েছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। এ ঘটনায় ন্যায় বিচার দাবি করছি।