দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ¥ীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক রাকিব হোসেন সুমন ও রাসেল হোসেন অপুকে ৫০ হাজার টাকা চুরির অভিযোগে আটক করেছে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ।
বুধবার (৯ আগস্ট) রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজুল ইসলাম আটকের বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে নিশ্চিত করেছেন। তবে কখন এবং কোথা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি।
আটক সুমন চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে ‘ও অপু একই এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে। সম্প্রতি দুজনে থানা ছাত্রলীগের পদ পেয়েছেন।
থানায় চুরির অভিযোগকারী চন্দ্রগঞ্জ বাজারের আফজাল রোডের মুন স্টিল ফার্নিচারের কারিগর মো. সাকিল। তিনি চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া এলাকার গোলজার হোসেনের ছেলে।
অভিযোগ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেলে আছরের নামাজ পড়ার জন্য কর্মচারী তানভীর হোসেনকে দোকানে রেখে যান কারিগর সাকিল। বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে সুমন ও অপু দোকানে ঢুকে। সেসময়ে তানভীরের সঙ্গে কথা বলে অপু অন্য মনস্ক করে রাখে। এ সুযোগে সুমন দোকানের টুলবক্সে রাখা ৫০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যান। দোকানে ফিরে টুলবক্স খোলা দেখে সাকিলের সন্দেহ হয়। পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে সুমন ও অপুকে দেখতে পান। তাদের কাছে টকার চুরির ঘটনায় জানতে চাইলে তারা সাকিলকে মারধরসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন। পরে চন্দ্রগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম মাসুদুর রহমান বলেন, সুমন ও অপুকে আটকের ঘটনাটি সঠিক নয়। অন্য একটি বিষয়ে তাদেরকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চুরির বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবি করেন তিনি।
চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজুল ইসলাম বলেন, সুমন ও রাকিবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।