সাহাদাত হোসেন (দিপু) ঃ-
লক্ষীপুর সদর উপজেলার ঢাকা – লক্ষীপুর মহাসড়কের দুই পাশে, ও সদর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে ফুটপাত দখল করে অবৈধ দোকানপাট গড়ে উঠেছে । তবে অবৈধ স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকানের দখলে থাকা এসব ফুটপাতে পথচারীদের হাঁটার সুযোগ কমই মেলে। ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে নানাবিধ দোকানপাট। তাই ফুটপাতে বিভিন্ন দোকান ও বাজার বসানোর ফলে মানুষ বাধ্য হয়ে মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করছেন।
অপরদিকে ফুটপাতের রাস্তায় ও বাজারে প্রধাণ সড়কে কোন দোকানপাট গড়ে উঠার কথা না থাকলেও সড়ক দখল করে দোকানপাটসহ বাজার বসানোর কারণে বাধ্য হয়ে মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, সিএনজি ও অটো রিক্সার মত ছোট ছোট যানবাহনগুলো মহাসড়কে উঠে যাতায়াত করছে। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে পথচারী ও সাধারণ মানুষ। সমাজের সচেতন মহল বলছেন, এই দুর্ঘটনার দায় অবশ্যই দখলদারের।
প্রশাসন বিভিন্ন সময় ফুটপাতজুড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করলেও তা টেকসই হয়নি।বিভিন্ন সময়ের উচ্ছেদ অভিযান পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ফুটপাতের জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও সোচ্চার অবস্থানে থাকেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। একদিকে উচ্ছেদ করতে না করতে অন্যদিকে আবার গড়ে তোলে অবৈধ স্থাপনা।
সরেজমিনে লক্ষীপুর সদর উপজেলার মান্দারী, চন্দ্রগঞ্জ, জকসিন, ভবানিগঞ্জ, দত্তপাড়া, পদ্দার বাজার, দিঘলী, চৌপল্লী বাজারসহ অনেক বাজার ঘুরে দেখা গেছে সড়কের দুই পাশে ও বাজারের ফুটপাতে গড়ে উঠেছে নানান পণ্যের দোকান। এসব দোকানের ভিড়তে চলাচলের নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন পথচারীরা।
সচেতন মহল প্রশ্ন তোলেন, এ সব দখলের নেপথ্যে কারা? সড়কের দুই পাশ ও বাজারে ফুটপাত দখল স্থায়ী কোনো সমাধান হচ্ছে না কেন?এর কি কোনো নিয়মনীতি নেই?
ফুটপাত দখল করেদোকান ও বাজার বসানোর বিষয়ে জানতে চাইলে এক হালিম বিক্রেতা আলাল মিয়া জানান, স্থানীয় অনেককেই ম্যানেজ করেই এখানে দোকানপাট করা হয়েছে। প্রতিদিন আমাদের প্রতি দোকান হতে ৫০ – ২০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়।
পথচারী স্থানীয় স্কুলের শিক্ষক আব্দুল বারেক ও শিক্ষার্থী তারেক বলেন, ফুটপাত দখল করে যেভাবে বাণিজ্য করছে এতে আমাদের রাস্তায় চলাচল অনেক অসুবিধা হয়। বাধ্য হয়ে আমাদের মহাসড়কে হেঁটে চলাচল করতে হয়। ফুটপাতে বাজার ও দোকানপাট বন্ধ করে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় এদের ব্যবস্থা করে দিলে এমন সমস্যার সম্মুখীন আর হতোনা।
এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তৌহিদুল ইসলাম জানান, ফুটপাতে কোন ধরনের দখল বা চাঁদাবাজি হতে দেয়া হবে না। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আমরা ফুটপাত দখল মুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করবো এবং এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।
এ বিষয়ে লক্ষীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, খুব দ্রুতই এই সকল ফুটপাত দখল মুক্ত করার জন্য অভিযান পরিচালনা করা হবে। সেই সাথে দখলদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।