দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ্মীপুরে ইশারা-ইঙ্গিতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৭) ধর্ষণের অভিযোগে মাহবুব আলম শিপুল নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কমলনগর উপজেলার চর লরেন্স এলাকার মো. বাচ্চুর ছেলে শিপুল উপজেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সহ-সভাপতি ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকির ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ৯ টার দিকে জেলা শহরের পুরাতন ডায়াবেটিস হাসপাতাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরআগে বিকেলে কিশোরীর চাচা বাদী হয়ে শিপুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী ও মামলার বাদী কমলনগর উপজেলার চরফলকন গ্রামের বাসিন্দা। তারা লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করেন। মেয়েটি ছোট রেখেই তার বাবা মারা যান। তার মাও তাকে ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। চাচা-চাচির কাছে সে বড় হয়। কথা বলতে পারে না, কানেও শোনে না। শিপুলও একই এলাকার বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে রাস্তাঘাটে দেখা হলে প্রায়ই ইশারা-ইঙ্গিতে বিয়ের প্রস্তাব দিতো। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিভিন্নসময় তাকে তিনি উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিতো। একপর্যায়ে ইশারা-ইঙ্গিতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শিপুল তার সঙ্গে সম্পর্ক করে। কিশোরীর চাচা-চাচি চাকরিজীবী হওয়ায় দিনে তারা বাড়িতে থাকেন না। এ সুযোগে দিনের বেলায় শিপুলের যাতায়াত ছিল। এজন্য বিষয়টি তারা আঁচ করতে পারেননি।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে কিশোরীর চাচা-চাচি অফিসের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এর পরপরই শিপুল ঘরে ঢোকে। কিন্তু আজ জরুরি কাজে অফিসে না গিয়ে চাচি ফের বাসায় আসেন। তখন এ ঘটনা দেখে চিৎকার দিলে পালিয়ে যায় শিপুল।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি বলেন, ঘটনাটি লোকজন আমাকে জানিয়েছে। কমলনগরে খোঁজ নিচ্ছি, এ নামে আর অন্য কোনো নেতা আছে কি না।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন জানান, বাকপ্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।