দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ্মীপুরে হাতে লিখে আনা নকল দেখে দেখে উত্তরপত্রে লেখার সময় জান্নাত আক্তার নামের এক ছাত্রী পরীক্ষকের কাছে ধরা পড়েছে। এতে সে লজ্জায় স্কুল ভবনের তিনতলার বারান্দা থেকে নিচে ঝাঁপ দেয়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের মজুপুর এলাকার হাজী আমজাদ আলী পাটওয়ারী ওয়াকফ এস্টেট একাডেমিতে এ ঘটনা ঘটে।
জান্নাত লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মজুপুর এলাকার মুরাদ হোসেনের মেয়ে এবং ওই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার সপ্তম শ্রেণির গণিত পরীক্ষা ছিল। অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জান্নাতও পরীক্ষায় অংশ নেয়। সে চারটি অংক হাতে লিখে আনে। এরমধ্যে দুটিই পরীক্ষায় এসেছে। হাতে লিখে আনা অংকগুলো দেখে দেখে খাতায় কষছিল জান্নাত।
পরীক্ষার হলে অসদুপায় অবলম্বন, ধরা পড়ে তিনতলা থেকে ঝাঁপ
পরীক্ষক আরিফ হোসেন দেখে ফেলে তার উত্তরপত্র কেড়ে নেন। তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানান। পরে পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ায় জান্নাত শিক্ষকদের কাছে মিনতি করে। একপর্যায়ে লজ্জায় সে স্কুল ভবনের তিনতলার বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেয়।
শিক্ষার্থীর মা শাহিনুর বেগম বলেন, ‘নকল ধরা পড়ায় পরীক্ষা থেকে জান্নাতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সে কারণেই সে বিদ্যালয়ের বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।’
জানতে চাইলে পরীক্ষক আরিফ হোসেন বলেন, ‘নকল ধরা পড়ার পর তাকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলা হয়। কিন্তু সে হঠাৎ করে বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ‘নকল ধরা পড়ার বিষয়টি পরীক্ষক আমাকে জানান। এর কিছুক্ষণ পরই ওই ছাত্রী ঝাঁপ দেয়। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি কেউ আমাকে জানাননি। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। নেওয়াহবে।