দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২১ দিনে ১৪টি ইটভাটা ধ্বংস করা হয়েছে। এর মধ্যে সোমবার (২৮ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনটি ইটভাটার আটটি চিমনি, কাঁচা ইট ও চুল্লি ধ্বংস করা হয়।
উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের চরআফজল গ্রামের চৌধুরী বাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে প্রশাসন। এ ইউনিয়নে ২৮টি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম শান্তুনু চৌধুরী ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুল হাসনাত খাঁন এ অভিযান পরিচালনে করেন। তবে কাউকে জরিমানা বা অন্য কোনো দণ্ড দেওয়া হয়নি। এসময় লক্ষ্মীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ, থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইটভাটাগুলো হলো, আমির হোসেন মাসুদের পরিচালিত মেসার্স আমরি ব্রিকস, আলাউদ্দিন মালের মেসার্স আল্লার দান ব্রিকস ও সানা উল্যার মেসার্স তিশা ব্রিকস। এর আগে গত ১৬ নভেম্বরও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আমরি ব্রিকস ও তিশা ব্রিকসে অভিযান চালিয়ে এক লাখ টাকা করে জরিমানা ও চিমনি উপড়ে ফেলা হয়েছিল। নির্দেশনা অমান্য করে ফের তারা ইট তৈরি করছিলেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। জেলা প্রশাসন থেকেও অভিযান চালানোর নির্দেশনা রয়েছে। গত ৭ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ২১ দিনে ১৪টি ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়েছে। এরমধ্যে একটি ইটভাটা মালিককে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর ১১টি ইটভাটায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া দুটি ইটভাটায় দুইবার করে অভিযান চালানো হয়।
ইটভাটাগুলো হলো, আবদুল ওহাব ব্রিকস, শাওন-সোহান ব্রিকস, মেঘনা ব্রিকস, আফরা ব্রিকস, ফারদিন আনাম ব্রিকস, তিশা ব্রিকস, আমরি ব্রিকস, গিয়াস উদ্দিন ব্রিকস, রফিক ব্রিকস, এমএস ব্রিকস ও আলাউদ্দিন ব্রিকস।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম শান্তুনু চৌধুরী বলেন, অবৈধ ইটভাটা কোনোভাবে চালানো যাবে না। এর বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।