সাহাদাত হোসেন (দিপু) ঃ-
লক্ষীপুরের চন্দ্রগঞ্জে বিয়ের লোভ দেখিয়ে এক বিধবা নারীর সাথে ১ বছর ধরে শারীরিক সর্ম্পক স্থাপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই নারী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে,তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো সম্পর্ক চালিয়ে আসছিলেন।
শারীরিক সর্ম্পক স্থাপনকারী পুরুষ লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার মান্দারী ইউনিয়নের গন্ধব্যপুর গ্রামের আব্দুল্লা বাড়ির মৃত মো. সেলিমের ছেলে হারুন (৩০)।
আর বিধবা নারী একই গ্রামের লাড়ি বাড়ির আবুল কাসেমের মেয়ে মনি বেগম (২৩)।
বিষয়টি পাড়াপ্রতিবেশিদের নজরে আসলেই এতে বিপত্তি ঘটে। মনি বেগম বিয়ের জন্য চাপ দিলে হারুন বিয়ে করতে অপারগতা প্রকাশ করায় শেষ পর্যন্ত মনি বেগম এই প্রতারণার জন্য স্থানীয় ঐ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাহবুব কামালের কাছে অভিযোগ করেন ।
বিধবা নারী মনি বেগম ও তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিগত ২/৩ বছর পূর্বে মারাযান তার স্বামী ইমাম উদ্দিন। বিগত ১ বছর থেকে একই গ্রামের পার্শবর্তী বাড়ির সেলিমের ছেলে হারুন (৩০) আমার বসতঘরে ঘনঘন যাতায়াত শুরু করেন। হারুন আমার বসতঘরে আশা যাওয়ার মধ্যে সর্বদাই তার সাথে আমাকে অবৈধভাবে দৈহিক সম্পর্ক তৈরির কুপ্রস্তাব দিতো। মাঝে মধ্যে সে আমাকে বিবাহ করবে বলে আশ্বস্ত করে। আমার থেকে প্রায় টাকা নিতো বিবাহের লোভে পড়ে গত ১ বছর থেকে তার সাথে আমি দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলি। বর্তমানে ঐ বিধবা নারী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ অবস্থায় হারুনকে বিবাহের কথা বললে সে কালক্ষেপণ করে আসছে আবার সন্তান নষ্ট এবং তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। হারুন ও আমার অবৈধ দৈহিক সম্পর্কের কথা দিনে দিনে পুরো গন্ধব্যপুর গ্রাম জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। আমার ও হারুনের অবৈধ দৈহিক সম্পর্কের বিষয়টি গ্রামের মুরব্বি ও যুব সমাজের নজরে আসলে তারা একাধিক গ্রাম্য সালিশি বৈঠকে বসেন। সালিসি বৈঠকে আমার ও হারুনের সম্পর্কের বিষয়টি উভয় জনের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি পাওয়ার পরেও আবার ১০০০০ টাকা করে আমানত দিতে বলে এবং বৃহস্পতিবার সালিসের পরবর্তী তারিখ দেওয়া হয় ।
এই বিষয়ে হারুনের কাছে জানতে চাইলে হারুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
মান্দারী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য কামাল হোসেন মাহবুবের কাছে এই বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন ৫/৭ দিন আগে মনি বেগম বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন, এবং উভয়কে ডেকে জিজ্ঞেস করলে ঘটনার সত্যতা দুইজনই স্বীকার করেন। পরে আমি চেয়ারম্যান মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করি।
এব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, দিগন্তের আলোকে বলেন এই বিষয়ে মৌখিক বা থানায় লিখিত কোন অভিযোগ এখনো পাইনি। তবে তিনি বলেন এবিষয়ে আমি গুরুত্ব সহকারে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে দেখবো। তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে অপরাধী কে আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।