লক্ষীপুরে সেই লম্পট পিতার বিরুদ্ধে নিজ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

অপরাদ

আপডেট
দিগন্তের আলো ডেস্ক -:
১৪ বছরের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে জন্মদাতা পিতা মো. সিরাজুল ইসলাম রতনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার সকালে ভিকটিম কিশোরীর মামা সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থানায় আটক অভিযুক্ত পিতা মো. সিরাজুল ইসলাম রতনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। (মামলা নং-০১, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০, সংশোধিত ২ দঃ বিঃ, তারিখ- ০১-১০-২০২১)।
এদিকে ভিকটিম ওই কিশোরী মেয়েকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শনিবার সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (পুলিশ পরিদর্শক) মো. বেলায়েত হোসেন।
ন্যাক্কারজনক এ ঘটনাটি ঘটেছে, লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার উত্তরজয়পুর ইউনিয়নের রাজারামঘোষ গ্রামে। গ্রেপ্তারকৃত পিতা মো. সিরাজুল ইসলাম রতন (৫০) ওই গ্রামের মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে, তিনি স্থানীয় ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ইউপি সদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম রতনের প্রথম স্ত্রী জোলেখা বেগম (৪০) নিজের মেয়েকে ধর্ষণসহ স্বামীর বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করেন। এতে রতন মেম্বার স্ত্রী জোলেখা বেগমকে বিভিন্ন সময় শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। পরে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে রাগে ক্ষোভে স্ত্রী জোলেখা বেগম বিষপান করে আত্বহত্যা করেন। এরপর ফাতেমা বেগম নামের এক নারীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন রতন মেম্বার। কিন্তু দ্বিতীয় বিয়ে করার পরও নিজের কিশোরী কন্যার প্রতি তার লোলুপ দৃষ্টি আরো বেড়ে যায় এবং একাধিকবার মেয়েকে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন পাষন্ড এই পিতা। বিষয়টি দ্বিতীয় স্ত্রী জানার পর তিনিও প্রতিবাদ করেন।
একপর্যায়ে স্থানীয়ভাবে ধারণকৃত মেয়ের একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই অভিযুক্ত পিতা ও ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম রতনের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
অভিযুক্ত পিতা সিরাজুল ইসলাম রতন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করছে।
এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একে ফজলুল হক দিগন্তের আলোকে জানান, ভিকটিম কিশোরীকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত রতন মেম্বারের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরর পর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সাহাদাত হোসেন (দিপু)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *