সাহাদাত হোসেন দিপু
ফাস্ট ফুড খাদ্যসামগ্রী হিসেবে বিস্কুট, কেক, পাউরুটিসহ নানা জাতীয় বেকারি খাবার পরিবারের প্রায় সকলেই খেয়ে থাকেন। দিনদিন এর চাহিদাও কম নয়। শিশুদের পছেন্দর খাবার হিসেবেও এসব খাবার তাদের কাছে প্রিয়। এছাড়া বাসাবাড়ীতে আত্মীয়স্বজনদের বেকারি খাবার একটি অন্যতম। জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি এসব খাবারের চাহিদাও ব্যাপক। গ্রাম থেকে শহরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে হরহামেশাই প্রতিদিন পৌঁছে যায় এসব খাদ্যসামগ্রী। এসবের বেশিরভাগ পণ্যে থাকে লেবেল। ফলে মানুষ নিরাপদ বা স্বাস্থ্যসম্মত মনে করেই এসব খেয়ে থাকেন। কিন্তু এসব তৈরীর ক্ষেত্রে কিছু নিয়মনীতি রয়েছে যা বাধ্যতামূলক। কিন্তু লক্ষীপুর সদর উপজেলার শহর কিংবা গ্রামের অধিকাংশ বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে এসব পণ্য। যেমন- কেক, পাউরুটি, বন, বিস্কুটসহ নানা বেকারি খাবার। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সদর উপজেলার দত্তপাড়ার সততা বেকারি সরকারি নিয়ম ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বেকারি পণ্য উৎপাদন করলেও, বিপ্লব বেকারি, ও কাদের বেকারি পণ্য উৎপাদন করছে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে, মান্দারীতে আল্লার দান, ও সোহাগি বেকারি সরকারি নিয়ম মেনে পরিস্কার, ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বেকারি পণ্য উৎপাদন করলেও টিপটাপ ও রুমঝুম বেকারিতে পণ্য উৎপাদন করছে নোংরা পরিবেশে, দাসের হাট নিউ তৃপ্তি বেকারি, দিঘলী ইসলামিয়া বেকারির চিত্র একই এ-ই ছাড়াও লাহারকান্দী, ভাংগা-খাঁ, ভবানীগঞ্জ, পুকুরদিয়া,শান্তির হাঁট বাজার ঘুরে দেখা গেল বেশীরভাগ বেকারির অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে মনে হবে এটি একটি মেস বা পরিত্যক্ত বাসা। ওইসব প্রতিষ্ঠানের ভিতরে রয়েছে গাছের গুঁড়িসহ পুরনো সব ডালপালা স্যাঁতসেঁতে মাটিসহ নোংরা পরিবেশ। নামমাত্র একটি ঘরে বড় আকারে চুলা বসিয়ে এসব পণ্য দীর্ঘদিন ধরে তৈরি করা হচ্ছে। ভিতরে দেখা যায়, শ্রমিকরা মাটিতে দাঁড়িয়ে অপরিছন্ন শরীরে এসব পণ্য তৈরিতে ব্যস্ত। এ সময় একটি ছোট টিনশেড ঘরে এক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়। তিনি জানান, তার নাম মানিক কি দায়িত্বে আছেন জানতে চাইলে জানান তিনি ম্যানেজার। পরে তিনি এক সময় দাপট দেখিয়ে বলেন, কোন ছবি তুলবেন না। তিনি আরও বলেন,শুনলাম আপনি ছবি তুলেছেন, ছবি তুলে থাকলে তা ঠিক হবে না পরে তিনি চা খাওয়ার অফার দেন। পরিবেশ এমন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কই সব তো ঠিক আছে। তিনি বিএসটিআইর অনুমোদন আছে বলে দাবি করেন’ প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন মানহীন প্রতিষ্ঠানে কিভাবে এসব পণ্য তৈরি হয়, এ প্রশ্ন অনেকের। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী প্রশাসনের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
লক্ষীপুর সদর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর তাজুল ইসলাম দিগন্তের জানান বলেন, ইতিমধ্যে নোংরা পরিবেশে বেকারি পণ্য উৎপাদন ও সরকারি নিয়ম না মানায় কয়েকটি বেকারির মালিককে জরিমানা করা হয়েছে, তিনি সাংবাদিকদের অনুরোধ করে বলেন, আপনারাও আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে এদের বিরুদ্ধে তুলে ধরুন।
লক্ষীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুম দিগন্তের আলোকে বলেন, যে সমস্ত বেকারির মালিকেরা অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশে, সরকারের নিয়ম উপেক্ষা করে বেকারি পণ্য উৎপাদন করেন তাদের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।