দিগন্তের আলো ডেস্ক :
লক্ষ্মীপুরে ঘরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে চার সন্তানসহ মা বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে পৌর শহরের মিয়া রাস্তার মাথা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্মীপুর শহরে অবস্থিত বাংলাদেশ মেডিকেলের মালিক নাদিম ও তার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের পারিবারিক কলহ চলে আসছে। এতে করে প্রায় সময় তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকতো। ঘটনার রাতে মাহমুদা ঘরের দরজা বন্ধ করে তার তিন ছেলে জুলহাস (১০) মুর্তজা(৭) আরমান(৫) ও মেয়ে পান্নাকে(৬) জুসের সাথে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে নিজেও বিষ পান করে। এসময় সবার মৃত্যু নিশ্চিত করতে ঘরের দরজা বন্ধ করে ভেতরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাচ্চাদের চিৎকার শুনে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা।
এসময় ঘরের ভিতর থেকে আগুন ও ধোঁয়ার দৃশ্য দেখতে পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে তাদের মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে ৪ শিশু সন্তানের মধ্যে পান্না জুস খাওয়ানোর কথা বললেও অন্যরা কিছুই বলতে পারছে না। আর তাদের মাও গণমাধ্যমে মুখ খুলছেন না।
তবে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. কমলাশীষ জানান, বিষক্রিয়া নিয়ে একই পরিবারের ৫জন হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের চিকিৎসা চলছে। তাদের আশঙ্কামুক্ত হতে ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে ঘটনা জানতে তাদের বাড়ীতে গিয়ে দেখা গেছে ঘরের আসবাবপত্র এলোমেলো অবস্থায় পুড়ে ছাই হয়ে পড়ে আছে। এসময় শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক ইমদাদুলসহ অন্য সদস্যরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মাহমুদার স্বামী নাদিমও ছিলেন তখন।