নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ-
লক্ষীপুরে আপন ভাই ও ভাতিজাদের প্রতিহিংসার স্বীকার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকর্ম বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহাদ ও তার পরিবার ও সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ।
লক্ষীপুর চন্দ্রগঞ্জ এক অসহায় পরিবারকে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্নভাবে হয়রানি ও সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে আপন ভাই ও ভাতিজাদের বিরুদ্ধে।
বিপুল পরিমান সম্পত্তির লোভে পরিবারটিকে একের পর এক হুমকি, মারধর, মিথ্যা মামলা, উচ্ছেদ ও জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে নিজের ভাই ভাতিজাদের বিরুদ্ধে।
লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের বসুহিতা গ্রামের সিরাজ মাষ্টারের বাড়ির মনির চৌধুরীর ছেলে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম ২য় বর্ষের ছাত্র মোঃ আরাফাত হোসেন ফাহাদ (২৫) বৃহস্পতিবার ১৯ আগষ্ট সাংবাদিকদের কাছে লিখিত একটি কাগজে এ অভিযোগ করেন।
আরাফাত হোসেন ফাহাদ বলেন, দীর্ঘদিন থেকে আমার আপন চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা জোরপূর্বক আমার বাবার পৈতৃক সম্পত্তির কিছু দখল করছে এবং বাকী সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় আমার বাবা মনির চৌধুরী, এবং আমার মা সাইফুন নেছা পারভীন, ও আমাকে মারধর করতো এবংকি মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করা হতো ।
অভিযুক্তরা হলেন, লতিফপুর গ্রামের সিরাজ মাষ্টারের বাড়ির মৃত হেদায়েত উল্ল্যাহার ছেলে নজরুল ইসলাম টিটু (৪২) ও তার ভাই রুমন (৩৫), বসুহিতা গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে মহসিন কবির মুকুল (৪৮), একই গ্রামের মৃত তরিকউল্ল্যাহর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৫২), সৌরভ (২৮) পিতা মোস্তফা, আব্দুল শহিদ (৬০) পিতা মৃত চান মিয়া, রায়হান (২৬) পিতা শহিদ উদ্দিন, হৃদয় (২০) পিতা শহিদ, জামাল উদ্দিন (৫৫) পিতা মৃত শফি উল্ল্যাহ, মোস্তফা, বাসার, কিশোর, ফারুক সকলে বসুহিতা গ্রামের সিরাজ মাষ্টারের বাড়ির বাসিন্দা।
ফাহাদ জানান, ওই সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে তাদের উপর অত্যাচার ও মানসিক নির্যাতন করে যাচ্ছেন তাদের ওই আত্মীয় স্বজনরা। তিনি আরও বলেন গতো শনিবার ১৪ আগষ্ট সকালে লোকজন দিয়ে আমাদের প্রায় দুইশো সুপারি গাছ কেটে ফেলে, কেটে ফেলা প্রত্যেকটি গাছে সুপারি ছিল বলে তিনি জানিয়েছেন। এইসময় আমার মা বাধা দিতে গেলে তারা আামার মাকে মারধর করে এর আগে ১২ই আগষ্ট চন্দ্রগঞ্জ বাজারে পরিকল্পিতভাবে আমার বাবার উপরে হামলা চালায় তারা এর একটি ভিডিও আমার কাছে আছে বলে তিনি জানান। ফাহাদ আরও বলেন গতো মঙ্গলবার এই বিষয়ে থানায় আমরা একটি লিখিত অভিযোগ করি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত বেলায়েত হোসেন জানান ভুক্তভোগী ও তার পরিবার থানায় এসে একটি লিখিত অভিযোগ করেন, তিনি আরও বলেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
লক্ষীপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুম বলেন লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছুই জানেনা বলে জানান।
অভিযুক্ত ও বিবাদী মহসীন কবির মুকুল মোবাইল ফোনে জানান আমাদের বিরুদ্ধে আনিতো অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট, উল্টো তারা আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে, সুপারি গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই জমি আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি, আর আমরা আমাদের মালিকানা জায়গা থেকে সুপারি গাছ কাটছি কারণ হিসেবে তিনি বলেন আমরা এখানে অন্য কিছু করবো। এখন তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা নাটক সাজাচ্ছে বলে তিনি জানান।
আরাফাত হোসেন ফাহাদ তার লিখিত বক্তব্যে আরও জানান, তার বাবা, মা এক ছোট ভাই, ও বোন, তাদের ভয়ে বাড়িছাড়া। তাদের এই অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তারা জমি দখল ও আত্মসাতের মতো জঘন্য কাজে লিপ্ত রয়েছেন। তারা তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত বলেও জানান নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকর্ম বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন ফাহাদ।