দিগন্তের আলো ডেস্ক :
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামে হারুনুর রশিদ ওরফে কসাই হারুন (৫৫) নামে এক আওয়ামীলীগ নেতাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে সন্ত্রাসীরা। বুধবার (৪ আগষ্ট) রাত ৯টার দিকে দূর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায়। এদিন দিবাগত রাত একটার পর ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। রাত দেড়টার দিকে সাংবাদিকদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন হারুনের জেঠাতো ভাই নুরে আলম। ।
তিনি বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় পৌঁছালে হারুনের মৃত্যু হয়। তার মৃতদেহ লক্ষ্মীপুরে নিয়ে আসা হচ্ছে।
এর আগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে এলাকাবাসী তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখান থেকে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। ঢাকা নেওয়ার পথেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় জেলা আঃলীগের সাধারন সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর ২ আসনের এমপি এ্যাড. নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যান এবং জন্য তিনি বিএনপির সন্ত্রাসীদের দায়ী করে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবী করেন
হারুন ফতেহপুর গ্রামের হোসেন ব্যাপারীর পুত্র এবং দত্তপাড়া বাজারের গোশতের ব্যবসায়ী। এছাড়া তিনি বশিকপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, হারুন তার বাড়ির পাশের বটের পুকুর পাড় সংলগ্ন একটি চা দোকানে বসে ছিলেন। রাত প্রায় ৯টার দিকে একটি সিএনজি অটোরিক্সাযোগে ৫-৬ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা এসে হারুনকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে ঘটনানস্থল ত্যাগ করে। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে কি কারণে তিনি হামলার শিকার হয়েছেন- এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
রাত ১১টার দিকে সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক রেজাউল করিম মাসুম জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে গুরুতর জখম অবস্থায় হারুন নামে এক ব্যাক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র প্রেরণ করা হয়েছে। হারুনের শরীরের বেশ কয়েকটি স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এ সময় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
জেলা পুলিশ সুপার ড. এ.এইচ.এম কামরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের চিহিৃত করে গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।