নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ-
বাড়ির প্রবেশ পথে বেড়া, সাহায্য চেয়েও পাচ্ছে না অবরুদ্ধ পরিবারটি
তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাকবিতণ্ডার জের ধরে লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার মান্দারী ইউনিয়নের মোহাম্মদ নগর গ্রামের মোঃ ইউসুফ নামের একজন স্থানীয় বাসিন্দার বাড়ির প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, একই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য আলাউদ্দীনের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি অবগত করার পরেও পরিবারটি তাদের চলাচলের পথ উন্মুক্ত কিংবা কোন সমাধান পাননি। তাই বাধ্য হয়ে অন্যের জায়গা দিয়ে চলাচল করছেন বলে জানিয়েছেন ইউসুফ ও তার পরিবার। এ অবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে স্বাভাবিক চলাচলের নিশ্চয়তায় প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন অসহায় পরিবারটি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ ইউসুফ বলেন শুক্রবার সকালে আমার বাড়ি থেকে বের হওয়ার প্রবেশ পথে গায়ের জোরে, মিথ্যা অভিযোগে তারা জায়গা পাবে দাবি করে বাঁশের বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন আমার আপন চাচাতো ভাই আলাউদ্দীন ও তার ভাই নাজিম উদ্দীন। আমার জায়গায় বেড়া দিতে নিষেধ করলে তাঁরা দা লাঠি নিয়ে আমাদের দিকে তেড়ে আসে এবং অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও হুমকি প্রধান করে। এমতাবস্থায় আমি ও আমার পরিবার আতংকে দিন অতিবাহিত করছি। এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ আলাউদ্দীন বলেন আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট, আমরা আমাদের মালিকানা জায়গায় বেড়া দিয়েছি, আমাদের কাছে এই জায়গার বৈধ দলিল আছে আমরা কাউকে মারতে কিংবা কোন প্রকার গালমন্দ করি নাই। বরং উল্টো তারা আমাদের গালমন্দ করেছেন ।
মোঃ ইউসুফ আরও বলেন, আমরা যে জমি দিয়ে যাতায়াত করতাম, ওই জমি আলাউদ্দীনের নয়। তারা জোরপূর্বক আমাদের ক্রয়কৃত জমিতে বেড়া দিয়েছেন।
স্থানীয় কয়েকজন বলেন, ইউসুফ ও আলাউদ্দীনের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ এই জায়গা নিয়ে বিরোধ চলতেছে ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ আলম বলেন, ইউসুফের বড়ো ছেলে বিষয়টি আমাকে অবগত করেছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ইউসুফের বড়ো ছেলে ওসমান গনী সাংবাদিকদের বলেন, আমার শত্রুর সঙ্গে আমি কোনো আপস করবো না। সে কোনোও জোর করে আমাদের জায়গায় বেড়া দিলো এবং আমার বাবা ও ভাইকে গালমন্দ করলো, আমি তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিবো।
লক্ষীপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাসুম দিগন্তের আলোকে বলেন, বিষয়টি যদি সত্যি হয়, তাহলে কারো চলাচলের পথ বন্ধ করাটা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। এই বিষয়ে ভুক্তভোগী কিংবা কারও কাছ থেকে কোনো অভিযোগ বা আবেদন পেলে দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের ব্যবস্থার আশ্বাস দেন তিনি।
চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে ফজলুল হোক বলেন থানায় এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ বা জিডি হয় নাই, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন আনুক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।