দিগন্তের আলো ডেস্ক ও নুর আলম সিদ্দীক রাজু ঃ-
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার ১৩নং দিঘলি ইউনিয়নের পশ্চিম দিঘলী গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন থেকে তিন সন্তানের এক জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ,*একই গ্রামের লতিফ মাষ্টারের বাড়ির আবুল কালামের লম্পট ছেলে শামীমের (২৬) বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান শারমিন আক্তার ( ৩৩) নামের এই মহিলা অনেকদিন থেকে তার দুই মেয়ে ও একটি শিশু সন্তান নিয়া পশ্চিম দিঘলী ফখরুদ্দিনের বাড়িতে বাসা ভাড়া থাকতো।
ভুক্তভোগী শারমিন আক্তার বলেন শামীম দীর্ঘদিন ধরে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছে, এবং একই এলাকার ও পরিচিত হওয়ায় আমার বাসায় আসাযাওয়া করতো। কিন্তু হঠাৎ করে গত বছরের ডিসেম্বরে আমার স্বামী আমাকে তালাক দিয়ে অন্য নারীকে বিয়ে করার পর থেকে আমি আমার তিন সন্তানকে নিয়ে খুব কষ্টে দিন যাপন করছি। পরে দুই কন্যা সন্তাকে আবাসিক মাদ্রাসায় দিয়ে দেয়-। শারমিন আক্তার আরও বলেন শামীম আমাকে বলে আমি তার কথায় রাজি না হলে সে আমার ও আমার বাচ্চাদের অনেক বড়ো ক্ষতি করবে। তাই আমি বাদ্য হয়ে তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়। কিন্তু বিয়ে করার আশ্বাসে বিভিন্ন প্রলোভনে বিগত তিন মাস আমার সাথে শামীমের শারীরিক সম্পর্ক হয়, আমি বিয়ের জন্য একপর্যায় শামীমকে ছাপ প্রয়োগ করি এবং বিয়ে ছাড়া কোন শারীরিক সম্পর্ক করবো না, বলায় শামীম আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে, আমাকে ও আমার বাচ্চাদেরকে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয়। পর আমাকে ব্ল্যাকমীল করে অনৈতিকভাবে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে । শামীমের হাত থেকে বাঁচার জন্য আমি সমাজের গণ্যমাণ্য অনেককেই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করি। পরে এলাকায় জানাজানি হলে শামীম বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। শামীম আমাকে ফোন দিয়ে বলে থানা, পুলিশ, বা মামলা করলে আমি ও আমার সন্তানদেরকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়।তারপর থেকে শামীম মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয় ।
শারমিন আক্তার আরও বলেন আমি অনেকের কাছে বলেও বিচার পাইনি, তাই আমি ন্যায় বিচারের জন্য আদালতে মামলা করি। ভিকটিম শারমিন আক্তার বলেন আমি প্রতারক ও ধর্ষক শামীমের বিচার চাই ।
শামীম পলাতক ও তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় অনেক চেষ্টা করেও শামীমের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে শামীমের বাবা আবুল কালাম কোন কথা না বলে তাড়াহুড়ো করে চলে যান।
দিঘলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মুজিবুর রহমান কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি শুনেছি তবে আমার কাছে ভিকটিম কিংবা কেউ মৌখিক বা লিখিতভাবে কোন অভিযোগ করে নাই।
লক্ষীপুর জেলা বার এসোসিয়েশনের নির্বাচিত সহ-সাধারণ সম্পাদক, এডভোকেট মাহমুদুল করিম (টিপু) দিগন্তের আলোকে বলেন দিঘলী থেকে একজন মহিলা এসেছেন ধর্ষণ মামলা দায়ের করার জন্য। বিস্তারিত শুনে আমি ঐ দিনেই ২৫-৫-২১ সিনিয়র জুডিশিয়াল আমলী চন্দ্রগঞ্জ অঞ্চল দায়ের করি যার মামলা নাম্বার সি, আর ১৯৫২০২১ এই মামলার তদন্ত দেওয়া হয়েছে নোয়াখালী (ঢ়নর) কে তিনি আরও বলেন আমি আশা করি মহিলা ন্যায় বিচার পাবেন।-