দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
অনেক দিন থেকেই ংড়পরধষ সবফরধ-তে নেই গবেষণার ব্যস্ততা। এ কারণে ঈদ উপলক্ষে স্বেচ্ছা ছুটির সময়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢুকে শুধু ফিলিস্তিনের ওপর হামলার খবর আর প্রতিক্রিয়া দেখছি। এমনিতেই প্রবাসে ঈদ ঈদের মতো লাগে না। তার ওপর ফিলিস্তিনের পরিস্থিতির কারণে এমন দুঃখভারাক্রান্ত ঈদ সম্ভবত আর কখনো হয়নি।
অনেককেই বলতে শুনি, এমনকি বিশেষজ্ঞ মতামত দিতেও দেখি যে হামাস যা করছে তা একেবারেই ভুল। হামাসের অনমনীয় ও আপসহীন মনোভাব ফিলিস্তিনীদের জন্য ক্ষতিকারক। তাদের পাণ্ডিত্য নিয়ে আমার সন্দেহ না থাকলেও তাদের মাকসাদ নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
একটি বিষয় লক্ষ করবেন, তারা কিন্তু শুধু এটুকু বলেই খালাস যে হামাসের কার্যকলাপ ফিলিস্তিনিদের জন্য ঠিক নয়। বরং একটু নমনীয় হলে আল-ফাতাহর মতো শান্তিচুক্তি করার পেছনে দৌড়ানোই শুধু ফিলিস্তিনিদের জন্য মঙ্গলজনক। তারা সম্ভবত ইতিহাস জানেন না বা এড়িয়ে যেতে চান।
অথচ তারা ভুলে যান, এ পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিনিদের। ইসরায়েল ইহুদিদের নয়। আমার ভূমি থেকে আমাকে উৎখাত করা হচ্ছে, আর আমি কিনা শান্তিচুক্তি করে নিজের পিঠ বাঁচাব। আমার ভূমি না থাকলে আমার বেঁচে থাকারই বা কি সার্থকতা। আত্মসম্মান ছাড়া বাঁচতে পারে তো শুধু চাটুকার ও ফন্দিবাজরা।
আরো একটি বিষয়, এই পৃথিবীতে একটিও কি উদাহরণ দেওয়া যাবে, যেখানে শান্তিচুক্তি করে কোনো মুসলিম দেশ স্বাধীনতা পেয়েছে। শুধু রক্তাক্ত সংগ্রামই ফায়সালা আনতে পারে, কোনো শান্তিচুক্তি নয়। পৃথিবীর শান্তিচুক্তির ইতিহাসে শুধুই বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। হয়তো দু-চার-দশ বছরের জন্য হামলা-আক্রমণ বন্ধ হয়েছে; কিন্তু শান্তি কি এসেছে? অত্যাচার- নির্যাতন-নিপীড়ন কি কমেছে? নাকি শান্তিচুক্তির আড়ালে তা-ও চলেছে হরদম।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কথাই ধরুন। বঙ্গবন্ধু যদি শান্তিচুক্তি করে সর্বাত্মক যুদ্ধ থেকে পিছিয়ে আসতেন, তাহলে কি বাংলাদেশ হতো? অথচ বঙ্গবন্ধুর সে সুযোগ ছিল না, তা বলা যায় না। অথচ সমঝোতার বদলে সংগ্রামে গিয়েই তিনি কিন্তু গালিব হয়েছিলেন। কী আশ্চর্য, এত সহজেই আমরা রোহিঙ্গাদের কথা ভুলে গেলাম ! যুগের পর যুগ বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে উৎখাত করা হয়েছে, নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে। যখনই আন্তর্জাতিক মহল কিছুটা কথাবার্তা বলেছে, তারা নিশ্চুপ থেকেছে। তারপর কিছু সময় যেতেই আবার সেই একই অত্যাচার, হত্যা। আবার আলোচনা, আবার নিশ্চুপ। তারপর আবারও সেই ঘটনার পুনারাবৃত্তি।