দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ্মীপুর-রায়পুর ও চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে টিএন্ডটি এলাকায় বছরের পর বছর ধরে বর্জ্য ফেলে আসছে রায়পুর পৌরসভা। এতে পথচারী, যানবাহনের যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলে আসলেও কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানে কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে, আবর্জনার কারণে বিষাক্ত পানি আটকে গিয়ে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করছে আর শুষ্ক মৌসুমে দুর্গন্ধ প্রকট হয়ে উঠছে। এবারের নির্বাচনসহ মোট চারবার রায়পুর পৌর নির্বাচন হলেও আবর্জনার ভাগাড় নিয়ে সুষ্ঠু কোনও সমাধান হয়নি।
সরেজমিন দেখা যায়, রায়পুর সরকারি হাসপাতালের সংলগ্ন টিএন্ডটি কার্যালয়ের সামনে আঞ্চলিক মহসড়কের পাশে আবর্জনা স্তূপ করে রাখা হচ্ছে। স্বপন ও ইসমাইল নামে দু’জন ভ্যানগাড়ি নিয়ে এসে সহযোগীদের মাধ্যমে বর্জ্য ফেলছে। তারা জানান, প্রতিদিন পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে কমপক্ষে ৬টি ভ্যানে করে আনা বর্জ্য এখানে ফেলা হয়। এছাড়া দোকানপাট ও কারখানার বর্জ্যগুলোও এখানে ফেলা হয়।
টিএন্ডটি কার্যালয়ের সামনে কনফেকশনারি বিক্রেতা সোলায়মান মিয়া জানান, আবর্জনার দুর্গন্ধে বাজারে বসে থাকা যায় না। ক্রেতা-বিক্রেতা সবারই দুর্ভোগের কারণ হয়ে উঠেছে এ ময়লার ভাগাড়। বর্জ্য ফেলার স্থান থেকে আধা কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মানুষকে নাকে মুখে রুমাল চেপে থাকতে হয়।
রায়পুর নাগরিক পরিষদের যুগ্ন-আহবায়ক নিজাম উদ্দিন বলেন, সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও মহাসড়কের পাশে বর্জ্য ফেলে পরিবেশ দূষণ না করার বিষয়ে পৌরবাসী অনেকদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছে। পৌরসভার বয়স দেড় যুগেরও বেশি। এ সময়ে দাঁড়িয়ে আমাদের জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পরিবেশ দূষণের শিকার হতে হয়, যা খুবই দুঃখজনক।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সমাজ সচেতন আবুল কাশেম দেওয়ান বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ নিজেই ময়লা ফেলতে নিষেধ করে, নিজেই আবার সেখানে ময়লা ফেলছে। আর যেখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে সে স্থানটিতে একটি সরকারি অফিস রয়েছে। এর আশপাশে কয়েকটি শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ঘটনায় শুধু মানবাধিকার নয়, শিশু অধিকারও লঙ্ঘিত হচ্ছে। মহাসড়কের পাশে ময়লা ফেলার প্রতিবাদ করলেও সুফল মিলছে না বলে জানান তিনি।
রায়পুর-চট্রগ্রাম সড়কের জোনাকি পরিবহনের চালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, চট্রগ্রাম থেকে ফেরার পথে দেখা যায় সড়কের ওপর অনেক সময় ময়লা পড়ে থাকে। রায়পুর বাসটার্মিনাল এলাকায় সড়কের ফুটপাত ময়লার দখলে থাকে। দুর্গন্ধে বাসযাত্রীদের দম বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত দত্ত জানান, পৌরসভা বিনা অনুমতিতে মহাসড়কের পাশে ময়লা আবর্জনা ফেলছে। এতে আমরা ভীষণ বেকায়দায় পড়েছি। সড়কের একটা অংশে ময়লা ফেলায় ওই এলাকায় যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। পৌর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষ একাধিকবার আশ্বাস দিলেও সুফল মিলেনি।
রায়পুর পৌরসভার সচিব আবদুল কাদের জানান, ময়লা ফেলার জন্য পৌরসভার কোনও জায়গা নেই। টিএন্ডটি কার্যালয়ের জায়গায় যেন না ফেলা হয় কর্মচারিকে বলা হয়েছিলো। ডাম্পিং ব্যবস্থার জন্য মেয়রকে অনেকবার বলা হয়েছে। কিন্তু আজও তা হয়নি।
লক্ষ্মীপুরে আঞ্চলিক-মহাসড়কের পাশে ময়লার স্তূপ: জনদুর্ভোগ
দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ্মীপুর-রায়পুর ও চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে টিএন্ডটি এলাকায় বছরের পর বছর ধরে বর্জ্য ফেলে আসছে রায়পুর পৌরসভা। এতে পথচারী, যানবাহনের যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলে আসলেও কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানে কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে, আবর্জনার কারণে বিষাক্ত পানি আটকে গিয়ে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করছে আর শুষ্ক মৌসুমে দুর্গন্ধ প্রকট হয়ে উঠছে। এবারের নির্বাচনসহ মোট চারবার রায়পুর পৌর নির্বাচন হলেও আবর্জনার ভাগাড় নিয়ে সুষ্ঠু কোনও সমাধান হয়নি।
সরেজমিন দেখা যায়, রায়পুর সরকারি হাসপাতালের সংলগ্ন টিএন্ডটি কার্যালয়ের সামনে আঞ্চলিক মহসড়কের পাশে আবর্জনা স্তূপ করে রাখা হচ্ছে। স্বপন ও ইসমাইল নামে দু’জন ভ্যানগাড়ি নিয়ে এসে সহযোগীদের মাধ্যমে বর্জ্য ফেলছে। তারা জানান, প্রতিদিন পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে কমপক্ষে ৬টি ভ্যানে করে আনা বর্জ্য এখানে ফেলা হয়। এছাড়া দোকানপাট ও কারখানার বর্জ্যগুলোও এখানে ফেলা হয়।
টিএন্ডটি কার্যালয়ের সামনে কনফেকশনারি বিক্রেতা সোলায়মান মিয়া জানান, আবর্জনার দুর্গন্ধে বাজারে বসে থাকা যায় না। ক্রেতা-বিক্রেতা সবারই দুর্ভোগের কারণ হয়ে উঠেছে এ ময়লার ভাগাড়। বর্জ্য ফেলার স্থান থেকে আধা কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মানুষকে নাকে মুখে রুমাল চেপে থাকতে হয়।
রায়পুর নাগরিক পরিষদের যুগ্ন-আহবায়ক নিজাম উদ্দিন বলেন, সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও মহাসড়কের পাশে বর্জ্য ফেলে পরিবেশ দূষণ না করার বিষয়ে পৌরবাসী অনেকদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছে। পৌরসভার বয়স দেড় যুগেরও বেশি। এ সময়ে দাঁড়িয়ে আমাদের জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পরিবেশ দূষণের শিকার হতে হয়, যা খুবই দুঃখজনক।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সমাজ সচেতন আবুল কাশেম দেওয়ান বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ নিজেই ময়লা ফেলতে নিষেধ করে, নিজেই আবার সেখানে ময়লা ফেলছে। আর যেখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে সে স্থানটিতে একটি সরকারি অফিস রয়েছে। এর আশপাশে কয়েকটি শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ঘটনায় শুধু মানবাধিকার নয়, শিশু অধিকারও লঙ্ঘিত হচ্ছে। মহাসড়কের পাশে ময়লা ফেলার প্রতিবাদ করলেও সুফল মিলছে না বলে জানান তিনি।
রায়পুর-চট্রগ্রাম সড়কের জোনাকি পরিবহনের চালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, চট্রগ্রাম থেকে ফেরার পথে দেখা যায় সড়কের ওপর অনেক সময় ময়লা পড়ে থাকে। রায়পুর বাসটার্মিনাল এলাকায় সড়কের ফুটপাত ময়লার দখলে থাকে। দুর্গন্ধে বাসযাত্রীদের দম বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত দত্ত জানান, পৌরসভা বিনা অনুমতিতে মহাসড়কের পাশে ময়লা আবর্জনা ফেলছে। এতে আমরা ভীষণ বেকায়দায় পড়েছি। সড়কের একটা অংশে ময়লা ফেলায় ওই এলাকায় যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। পৌর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষ একাধিকবার আশ্বাস দিলেও সুফল মিলেনি।
রায়পুর পৌরসভার সচিব আবদুল কাদের জানান, ময়লা ফেলার জন্য পৌরসভার কোনও জায়গা নেই। টিএন্ডটি কার্যালয়ের জায়গায় যেন না ফেলা হয় কর্মচারিকে বলা হয়েছিলো। ডাম্পিং ব্যবস্থার জন্য মেয়রকে অনেকবার বলা হয়েছে। কিন্তু আজও তা হয়নি।