দিগন্ত ডেস্ক :-
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ২৮টি দেশে। ভাইরাস ছড়ানোর শঙ্কার মধ্যে রয়েছে বিশ্বের আরো অনেক দেশ। সেই বিবেচনায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি দেশের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
সেই তালিকায় প্রথম ২০ দেশের তালিকায় মধ্যে বাংলাদেশ না থাকলেও আছে দুই প্রতিবেশি দেশ ভারত ও মিয়ানমার। জার্মানির হামবোল্ট ইউনিভার্সিটি ও রবার্ট কচ ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানো করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে থাইল্যান্ড, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। থাইল্যান্ডে এ পর্যন্ত নতুন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ জন। জাপানে আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ জন; এদের মধ্যে ৬৪ জনই একটি প্রমোদতরীতে আছেন। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ জন।
তালিকায় চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে চীনের স্বায়ত্তশাসিত এলাকা হংকং ও তাইওয়ান। হংকংয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত আরও ২৬ জন। তাইওয়ানে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ১৭ জন।
সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা শীর্ষ দশের বাকি দেশগুলো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও কম্বোডিয়া। যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ১২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। ভিয়েতনামে রয়েছে ১৩ জন, মালয়েশিয়ায় ১৬ জন, সিঙ্গাপুরে ৪০ ও কম্বোডিয়ায় একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এরপর রয়েছে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ম্যাকাও, ফিলিপাইন, রাশিয়া, কানাডা, ভারত, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিয়ানমার।
মূলত চীনের সংক্রমিত এলাকা থেকে আকাশপথে বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী প্রবেশের হারের সম্ভাবনার ওপর ভিত্তি করে গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আকাশপথে ভ্রমণকারীর সংখ্যা দেখে ধারণা করা যায়, কী হারে ভাইরাস অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। যে রুট যত ব্যস্ত, সেটিতে আক্রান্ত যাত্রী চলাচলের সম্ভাবনা তত বেশি। এই সম্ভাব্য ধারণা ব্যবহার করে আমরা অন্যান্য বিমানবন্দরগুলোতে ‘আপেক্ষিক আগমনি ঝুঁকি’ হিসাব করেছি।
বাংলাদেশ থেকে চীনের বেইজিং, গুয়াংজু, কুনমিংসহ কয়েকটি রুটে বিমান চলাচল করে। তারপরও ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় নাম আসেনি বাংলাদেশের, এখানে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তও পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, রোববার চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুসারে দেশটির মূল ভূখণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১১ জনে। এর মধ্যে শুধুমাত্র গতকাল শনিবারই মারা গেছে ৮৯ জন। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩৭ হাজার ১৯৮ জন। শুধুমাত্র গতকাল আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৬৫২ জন। আর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ২ হাজার ৬৫০ জন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএস