দিগন্তের আলো ডেস্ক :
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। রোববার (১১ এপ্রিল) আইসিডিডিআরবি’র রিপোর্টে তার করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একাধিক সূত্রও বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছে।
এর আগে শনিবার (১০ এপ্রিল) বিকালে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।
করোনা পরীক্ষার ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, আইসিডিডিআর,বি ল্যাবরেটরিতে ১০ এপ্রিল তার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা হয়। এরপর আরটি পিসিআর পদ্ধতিতে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ১১ এপ্রিল প্রকাশিত রিপোর্টে খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষার রেজাল্ট ‘পজিটিভ’ আসে।
খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট
তবে, এ ব্যাপারে কিছুুই জানেন না বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
অস্টিও আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে ভুগছেন খালেদা জিয়া। তার মেরুদণ্ড, বাম হাত ও ঘাড়ের দিকে মাঝে মধ্যে শক্ত হয়ে যায়। দুই হাঁটু প্রতিস্থাপন করা আছে। তিনি ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণের ওষুধ খান। বাম চোখেও একটু সমস্যা রয়েছে খালেদা জিয়ার।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং ও দপ্তর বলছে, তারা কিছু জানে না। তারা এ বিষয়ে অবহিত নন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দর বলেন, ‘নো কমেন্ট’। আর বোন সেলিমা রহমান বলেন, ‘আমি তো বেশ কয়েকদিন ধরে যাইনি। শরীরটা ভালো না। এ সম্পর্কে আমি কিছুই বলতে পারবো না।’
এ বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের স্টাফদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
রায় ঘোষণার পর তাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। কিছুদিন পর কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে গত বছরের ২৫শে মার্চ শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়া হয় তাকে। এরপর থেকে নিজ বাসভবন ফিরোজাতেই আছেন তিনি। ৭৬ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন।
শনিবার (১০ এপ্রিল) বিকালে তার নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা জন্য বাসায় যান ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মামুন। এসময় তার ডায়াবেটিস পরীক্ষার জন্য রক্তের নমুনা নেয়া হয়।