দিগন্তের আলো ডেস্ক:-
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পূর্ব সানকীভাঙ্গা সওদাগর বাড়ী জামে মসজিদে তালা দেওয়ার ঘটনায় আজ (০৯ এপ্রিল) শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন স্থানীয় মুসল্লিরা৷
মঙ্গলবার পূর্ব সানকীভাঙ্গা সওদাগর বাড়ী জামে মসজিদে তালা
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ১৩নং দিঘলী ইউনিয়নের পূর্ব সানকীভাঙ্গা সওদাগর বাড়ী জামে মসজিদের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে মসজিদে তালা দেয় ফজলুর রহমান পাপ্পু। সে স্থানীয় দেলোয়ারের ছেলে। ঘটনায় জড়িত ফজলুর রহমান পাপ্পুকে গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধনের চেষ্টা করেন মুসল্লিরা। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে পুলিশ এসে বাধা দিলে মানববন্ধন পন্ড হয়ে যায়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে বিক্ষোভ করেন মুসল্লিরা৷
শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন স্থানীয় মুসল্লিরা
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মসজিদ কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. সহিদ মাস্টার, সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সিহাব, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মোক্তাদা’সহ স্থানীয় মুসল্লিরা।
বক্তারা বলেন, স্থানীয় একটি জমি বিরোধকে কেন্দ্র মঙ্গলবার দুপুরে দেলোয়ারের ছেলে পাপ্পু মসজিদে তালা লাগিয়ে দেয়। বিচার চেয়ে মুসল্লিরা ফুঁসে উঠলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মুজিবুর রহমান এসে তালা ভেঙ্গে মসজিদ উন্মুক্ত করে দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে তিনিও মুসল্লিদেরকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়ে বিচারের আশ্বস্ত করেন৷
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মোক্তাদা জানান, বিক্ষুদ্ধ মুসল্লিরা মানববন্ধনের কর্মসূচি নিয়েছিলো। পুলিশের বাধার মুখে মানববন্ধন করতে না পেরে বিক্ষোভ করেন তারা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ এসে বাধা দিলে মানববন্ধন পন্ড হয়ে যায়
অপরদিকে মানববন্ধনের খবর পেয়ে শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় মসজিদে আসেন ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি মুসল্লিদের মানববন্ধন না করার অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, মসজিদে তালা দেওয়া অন্যায়। এজন্য তার বিচার হবে। এছাড়া জমি সংক্রান্ত কোন বিরোধ থাকলে বসে সেটার মিমাংসা করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে ঘটনার পর থেকে ফজলুর রহমান পাপ্পু পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মুঠোফোনটিও পাওয়া যায় বন্ধ।
স্থানীয়রা জানান, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানায় শুক্রবার দুপুরে পুলিশের উপস্থিতিতে বিক্ষোভ করেন মুসল্লিরা। পরে পুলিশ ও স্থানীয় চেয়ারম্যান বিচারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ সমাবেশ তুলে নেন মুসল্লিরা।
চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে ফজলুল হক জানান, জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে একটি ছেলে মসজিদে তালা দিয়েছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় চেয়ারম্যান গিয়ে তালা ভেঙ্গে মসজিদ উন্মুক্ত করে দেয়। এঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার মুসল্লিরা মানববন্ধনের চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ পাঠানো হয়।