মান্দারী-আমিন বাজার ৫ কিঃ মিঃ রাস্তার বেহাল দশায়” কষ্টে লাখো মানুষ।

চন্দ্রগঞ্জ লক্ষ্মীপুর সদর

সাহাদাত হোসেন (দিপু) ঃ-

লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার মান্দারী ইউনিয়নের মান্দারী বাজার হইতে আমিন বাজার পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশায় ভোগান্তিতে কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় ২০ টি গ্রামের কয়েক লক্ষ মানুষ।

স্থানীয়রা ও এলাকাবাসী জানায় দীর্ঘদিন যাবত সংস্করণ করা হয়নি মান্দারী – আমিন বাজার গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি। অথচ ব্যস্তময় এই সড়কে প্রতিনিয়ত চলাচল করে মান্দারী, তেয়ারিগঞ্জসহ, আশেপাশের আরও কয়েকটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ। বিশেষ করে, দক্ষিণ মান্দারী, মিয়াপুর, বাইনটোলা, পাকারমাথা, চতালীয়া, পূর্ব মান্দারী, দক্ষিণ মান্দারী, পশ্চিম মান্দারী, আমিন বাজার, বড় বেড়ি, বেড়ির মাথা, গন্ধ্যব্যপুর, গুডিলীরহাট, বারাইপুর, ওয়াপদা বাজার, খাজুরতলীসহ, প্রায় ২০ টি গ্রামের কয়েক লক্ষ মানুষের প্রতিদিন চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এ-ই সড়কটি।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ রাস্তার কার্পেটিং ওঠে গিয়ে ছোট-বড় অনেকগুলো গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় রাস্তাটির এখন বেহাল দশা। দীর্ঘদিন সড়কটি সংস্কার না করায় দিন দিন বাড়ছে দুর্ভোগ। স্থানীয়দের মতে, সড়কটি সংস্কার না করায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

সড়কটির বেহাল দশা ও চলাচলের অনুপযোগী পরিণত হওয়ার পরে-ও সংস্কার করার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এতে প্রতিনিয়ত স্কুলের শিক্ষার্থী, যানবাহন চালক, পথচারীসহ সাধারণ মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পুরো রাস্তার কার্পেটিং ওঠে গিয়ে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে লক্ষ্মীপুর প্রাণকেন্দ্র মান্দারী চন্দ্রগঞ্জ, জকসিন ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাজারে, মানুষের প্রতিনিয়তই চলাচল করতে হয়। এই রাস্তাটি এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য একমাত্র পথ হওয়ায় চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। এই রাস্তার বেহাল দশার কারণে দিন দিন বাড়ছে দুর্ভোগ। শুকনো মৌসুমে কোনভাবে চলাচল করা গেলেও চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় বর্ষা মৌসুমে।

দিনে কিংবা রাতে চলাচলের সময় রাস্তার ছোট-বড় গর্তে উল্টে পড়তে হয় ভ্যানগাড়ি, সাইকেলসহ ছোট বড় যানবাহন। তবু এই রাস্তাাটি সংস্কার করার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বারবার আশা দিয়েও রাস্তাটি সংস্করণ করেনি কেউ। দ্রুত এই রাস্তাটি সংস্কার করা হলে এলাকাবাসী এই চরম দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবে। তাই দ্রুত এই রাস্তাটি সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রামের বাসিন্দারা।

শিক্ষক, ব্যাবসায়ী , স্কুল ছাত্র , কৃষক , সিএনজিচালক, অটোরিকশা ড্রাইভার সহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ দিগন্তের আলোকে জানান, বর্তমানে এই রাস্তার বেহলা দশার জন্য অনেকাংশেই দায়ী ৬ চাকার অবৈধ পাওয়ার টিলার (ট্রাক্টার)। অবৈধ ৬ চাকার পাওয়ার টিলারগুলো দিয়ে মাটি বালু ও ইট আনা নেয়া করা হয় এই রাস্তা দিয়ে, এই অবৈধ গাড়িগুলোর কারণে রাস্তার সবচাইতে বেশি ক্ষতি হয় বলে জানান এলাকাবাসী।

পুরো রাস্তার কার্পেটিং ওঠে গিয়ে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাটি সংস্কার না করায় দিনদিন আমাদের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। রাতে বা দিনে যে কোনো সময়ে গাড়ি ইঞ্জিন বিকল হয়ে বা গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দ্রুত এই রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন পুরো গ্রামবাসী। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি সাধারণ মানুষের, এবং যথাযত কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *