দিগন্ত ডেস্ক -:
সবুজ জমিন প্রতিবেদক: রাষ্ট্রের নাগরিকদের পাঁচটি মৌলিক চাহিদার মধ্যে চিকিৎসা হলো অন্যতম। একটু সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্যই মানুষের চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। এ জন্য মানুষ ডাক্তার ও হাসপাতালের স্মরণাপন্ন হয়। কিন্তু লক্ষীপুরের মানুষ যখন একটু অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন সু-চিকিৎসার জন্য দৌড়ে যায় লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে।
আর এই মানুষ গুলোর অভিযোগের শেষ নেই এই হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্স-ব্রাদার্স-ওয়ার্ডবয়ের বিরুদ্ধে।
আর নার্স-ব্রাদার্সরা মানবসেবা ও মানবিকতা ভুলে গিয়ে অ পেশাদারির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে রোগীদের দিচ্ছেন ভুলচিকিৎসা আর প্রতিনিয়ত রোগীদের সাথে আচার-আচরণ করছেন পশুর মত। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নার্স ও বাদ্রার্সদের কিছু লালিত বাহিনার সদস্যরা রোগিদের গায়ে হাত দিতেও দ্বিধাবোধ করছেনা।
লক্ষ্মীপুর সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসারত রোগি আব্দুস সাত্তার জানান, বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারী ২০২০ইং তিনি হঠাৎ স্টোক করলে স্বজনরা তাকে ভর্তি করেন। কর্তব্যরত ডাক্তারের লিখে দেওয়া ওষুধ ও ইনজেকশন সময় মত রোগীকে প্রদান করেন ডিউটিরত নার্স ও বাদ্রার্স। শনিবার রাতে ব্রাদার্স নুরুল ইসলাম একজন অ-প্রশিক্ষিত ব্রাদার্স কে দিয়ে রোগীকে অতিরিক্ত একটি ইনজেকশন পুশ করার পরপরই রোগীর অবস্থা আরো অবনতি হয়ে পড়ে। এসময় কর্তব্যরত ব্রাদার্সদের শরপন্ন হয়ে স্বজনরা বলছেন একজন ডাক্তার ডাকার জন্য। এতে ব্রাদার্স নুরুল ইসলাম রোগীগের কোন কথাই কর্ণপাতা না করে উল্টো রোগীর স্বজনদের সাথে খারাপ আচরণ করেন বলে অভিযোগ করছেন স্বজনরা। পরবর্তী রাত ২টায় কোন সুচিকিৎসা না পেয়ে রোগীকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
এসময় বিভিন্ন রোগীরা জানান, নার্স ও ওয়ার্ড বয়ের কাছে জিম্মি রোগীরা। এই হাসপাতালে নার্স ও ওয়ার্ডবয়রা যুগ যুগ ধরে চাকরি করায় তাদের ক্ষমতার দাপট, উদাসীনতা ও রোগীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্তব্যরত ব্রাদার্স নুরুল ইসলাম প্রতিবেদক কে বলেন, রোগী আব্দুস সাত্তারের পেটে একটি ইনজেকশন দেওয়া হয় কিন্তু পরবর্তীতে তার সহকর্মী ভূলে আরেকটি ইনজেকশন দেয়। এতে কোন অবনতি হওয়ার কথা নয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন আব্দুল গাফফার মুঠোফোনে সবুজ জমিনকে জানান, রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।